কাজের লোভ দেখিয়ে বিহারে বিক্রি, চলছিল যৌন হেনস্থা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 31 December 2021

কাজের লোভ দেখিয়ে বিহারে বিক্রি, চলছিল যৌন হেনস্থা



  একজন নাবালিকা এবং অন্যজন সাবালিকা।  বর্ধমান স্টেশনে ভিক্ষা করতেন।  সেখানে দুজনেই লীলু নামের এক ব্যক্তির ফাঁদে পড়ে।  দুজনকেই কাজের লোভ দেখিয়ে বিহারে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।  তিনি অভিযোগ করেন, প্রায় তিন বছর ধরে তাকে যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে।  অবশেষে দুজনে একসাথে পালিয়ে যায়।


  পালিয়ে যাওয়া অভিযোগকারী দুজনই বলেছেন যে তারা এখানে পরিচিত এক মহিলার কাছে পৌঁছেছিলেন, কিন্তু তিনি সহযোগিতা করেননি।  পার্থের রিক্রুটদের একজন, আদালতের আইনী ক্লার্ক, বৃহস্পতিবার বিকেলে দুজনকে আদালত চত্বরে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছিলেন। তার সন্দেহ হয়।  আদালতের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী মলয় মজুমদার পার্থবাবুর কাছ থেকে খবর পান।  অবশেষে চুঁচুড়া আদালতের আইন কেরানি ও মানবাধিকার কর্মী মলয় মজুমদারের সহায়তায় দুজনকে চুঁচুড়া থানায় সোপর্দ করা হয়।  এর পরেও লীলুসহ তার দল নাবালিকাকে ফোন করে হুমকি দিচ্ছে।


  বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনার জেরে চুঁচুড়া আদালত চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়।  জানা গেছে, বিহার থেকে পালিয়ে আসা নাবালিকার বয়স ১৮ বছর এবং অন্যজনের বয়স ২১ বছর।  ২১ বছর বয়সী বিবাহিত এবং একটি সন্তান আছে।  বিবাহিত মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী তাঁর সঙ্গে থাকতে দেননি।  এছাড়াও অভিযোগ, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে বাড়িতে উস্কানিমূলক নাচ করতে হয়েছে।  এ ছাড়া প্রতিদিন তাকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হতো।  লীলুর বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে একটি ছিল, বাড়িতে খবর দিলেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়।  আর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তারা দুজনেই শেষ পর্যন্ত বিহারে পালিয়ে চুঁচুড়ায় চলে যায়।


  পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য চুঁচুড়া থানার পুলিশের কাছে আবেদন জানান ওই মানবাধিকার কর্মী।  নিরাপত্তা দিতে তাদের দুজনকে সরকারি বাসভবনে রাখার অনুরোধ করেন তিনি।  এছাড়াও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad