দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত একটি যুদ্ধজাহাজ ব্রিটেনে সমুদ্রের নিচে চাপা পড়ে গেছে। এই জাহাজে প্রায় ১৪০০ টন বিস্ফোরক (1,400 Tonnes Explosives) বোঝাই করা হয়েছে, যা যেকোনও সময় সুনামির মতো বিপর্যয় এবং ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এবার এই বিপদ দূর করতে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে রয়্যাল নেভি। আগামী বছরের জুন থেকে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে বিস্ফোরক সরানোর কাজ শুরু করবে ব্রিটিশ নৌবাহিনী।
ঢেউ উঠবে পাঁচ মিটার পর্যন্ত
'দ্য সান'-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধজাহাজ এসএস রিচার্ড মন্টগোমারি গত ৭৭ বছর ধরে সমুদ্রে চাপা পড়ে আছে এবং যে কোনও সময় বড় ধরনের হুমকির জন্ম দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনও সময় বিস্ফোরক বিস্ফোরণ ঘটতে পারে এবং এটা ঘটলে সাগরে পাঁচ মিটার উঁচু ঢেউ উঠতে পারে, যা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে।
মিশন চলবে দুই মাস
প্রতিবেদনে টেলিগ্রাফের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে আন্ডারওয়াটার বোমা নিষ্ক্রিয় করার বিশেষজ্ঞ ক্র্যাক দলের সদস্যরা এই মিশনটি পরিচালনা করতে টেমস মোহনার নর বালির তীরে অবতরণ করবে। এখানে, একটি জাহাজ ১৯৪৪ সাল থেকে জলের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ২০২০ সালের জুনে শুরু হওয়া এই মিশনটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে।
জাহাজটি মার্কিন কনভয়ের অংশ ছিল
এই জাহাজে বোমা রয়েছে যা মূলত বিমানের জন্য ব্যবহৃত হয়। উচ্চ বিস্ফোরক ব্লকবাস্টার এবং ক্লাস্টার বোমার ২০০টি কেস এবং সেইসাথে ১০০০ পাউন্ড ওজনের একশোরও বেশি সাধারণ বোমা সহ। এই যুদ্ধজাহাজটি মার্কিন কনভয়ের অংশ ছিল যা ১৯৯৪ সালের আগস্টে ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। কিন্তু এটিকে গ্রেট নোরে থামতে বলা হয় এবং এটি সেখানেই ডুবে যায়।
ডিএফটির রিপোর্ট হুঁশ উড়িয়ে দিয়েছে
রয়্যাল নেভি এবং ২৯ টি বিশেষজ্ঞ দল এই অপারেশনটি চালানোর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। কিছুক্ষণ আগে জলের তলায় জাহাজের অবস্থা নিয়ে পরিবহণ অধিদপ্তর (ডিএফটি) একটি সমীক্ষা চালায়। যার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জাহাজটি আরও ভেঙে পড়লে বা গড়িয়ে পড়লে বিস্ফোরক দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী হবে যে সুনামির মতো বিপর্যয় ঘটতে পারে।
No comments:
Post a Comment