নর্মাল অর্থাৎ, স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই স্বাভাবিক ত্বক বলে আসলে কিছুই হয় না।
তা হলে ‘নর্মাল স্কিন’ কথাটি এল কোথা থেকে?
বেশ কয়েকটি কারণ আছে কোনও ত্বককে ‘নর্মাল’ বলার পিছনে। এক কথায় বলতে গেলে যে ত্বকের যত্নে বেশি ঝঞ্ঝাট নেই, তা-ই হল নর্মাল স্কিন। এই ধরনের ত্বকের জন্য বিশেষ রূপচর্চার প্রয়োজন হয় না।
যে কোনও ধরনের সাবান, ক্রিম, লোশন দিব্যি দেখভাল করতে পারে ত্বকের। তার প্রভাবে মুখে দাগ, ছোপ কিংবা লাল ভাব যখন তখন দেখা দেয় না।
ত্বকে ব্রণ, দাগ, তেলতেলে ভাব- সবই যদি অস্বাভাবিক ধরে নেওয়া হয়, তবেই স্বাভাবিক ত্বকের প্রসঙ্গ আলাদা ভাবে ওঠে।
চর্মরোগের চিকিৎসব আফজা মাচিওয়ালার বক্তব্য, বেশির ভাগের ত্বকই সব সময়ে সেই নির্ঝঞ্ঝাট থাকে না। আবহাওয়া, হর্মোন, মানসিক অবস্থা— অনেক কিছুর উপরে নির্ভর করে ত্বকের অবস্থা।
আর এক চর্মরোগ চিকিৎসক মাধুরী অগ্রবাল মনে করেন, ত্বকের ধরন নিয়ে এত বিশ্লেষণ আসে বিপণন কেন্দ্রিক ভাবনা। স্বাভাবিক ত্বক সব সময়ের নয়। বরং যে সময়ে ত্বকে কোনও ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে না, তখন তা থাকে স্বাভাবিক অবস্থায়।
তবে কারও ত্বক অধিকাংশ সময়ে সুস্থ থাকে মানেই যে তার বিশেষ যত্নের প্রয়োজন নেই, এমন নয়। নর্মাল স্কিন কোনও এক সময় তেলতেলে হয়ে যেতে পারে। তার জেরে মুখে ব্রণও হয়।
ফলে ত্বক যত্নে রাখা সব সময়েই জরুরি।
No comments:
Post a Comment