শুধু রোগ-ব্যাধির নয়, রূপচর্চায়ও মধু বিশেষ কাজে আসে। ডায়েটে থাকা শুরু করে ত্বক ও চুলের জেল্লা- এ সবের আড়ালে লুকিয়ে আছে মধুর কেরামতি। ত্বক ও চুলের ক্ষতি করছে রুখতে অনেকেই ব্যবহার করছেন কমবেশি বাজারী উপকরণ।
তবে সে সবের রাসায়নিক উপকারের চেয়ে অপকারী করে বেশি। তাই ত্বক ও চুলের যত্নে বেছে নিতেই পারেন প্রাকৃতিক কোনও উপাদান। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে রূপটানে মধুর কদর নতুন নয়। দৈনন্দিন জীবনে ত্বকের জেল্লা আনতে তাই মধুই হতে পারে সমাধান।
ত্বকের জেল্লা: দু’চামচ মধু ও দু’চামচ আমন্ড গুঁড়ো এক সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। এই মিশ্রন শীত কালেও আপনার ত্বককে রাখবে চনমনে এবং উজ্জ্বল।
ফেসমাস্কে মধু: হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা মধু নিয়ে মুখে সরাসরি মালিশ করুন। সেই মধুর প্রলেপ না শুকনো অবধি মুখে রেখে দিন। যদি একান্তই সময় না থাকে, অন্তত পাঁচ থেকে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
শুষ্ক ত্বক রুখতে: মধু প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। ত্বকে আর্দ্রতা ফেরাতে মধুর সঙ্গে অলিভ অয়েল এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর শুষ্ক অংশে ওই মিশ্রণ লাগিয়ে অপেক্ষা করুন মিনিট কুড়ি। এর পর ভিজে সুতির কাপড় দিয়ে ত্বক মুছে নিন। ঠান্ডা জলে ধুয়েও নিতে পারেন।
মেক আপ তুলতে: মেক আপ তোলার জন্যেও মধু বেশ কার্যকরী। নারকেল তেলের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। চোখের চার পাশ ছাড়া মুখের সর্বত্র এই মিশ্রণ লাগাতে পারেন। তার পর উষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মেক আপ তো মুছে যাবেই। লোমকূপের বন্ধ মুখও খুলবে।
স্ক্রাবার: ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা থাকলেও মধু কাজে আসে। এক চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে দু’চামচ মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করুন। সারা বছরই ব্যবহার করতে পারেন এই স্ক্রাব। ত্বকের মৃত কোষ ঝরে যাওয়ার ফর্মুলা তবে হাতের মুঠোয়।
মধু-জল: স্নানের সময় এক মগ জলে মিশিয়ে নিন আধ কাপের চেয়ে একটু বেশি পরিমাণ মধু। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহারের পরিবর্তে এই মিশ্রণ ঢেলে দিন চুলে। আঙুল চালিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন চুল।
মধু-দই: দু’চামচ টক দই ও তিন চামচ মধু মিশিয়ে একটা হেয়ার প্যাক বানিয়ে নিন। স্নানের আগে এই মিশ্রণ মেখে নিন চুলে। তার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন চুল।
No comments:
Post a Comment