ঋতুস্রাব না হওয়া গর্ভবতী হওয়ার সবচেয়ে বড় লক্ষণ বলে মনে করা হয়। আবার অনেক সময় এমনও দেখা গেছে যে পিরিয়ড মিস না হওয়া সত্ত্বেও মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। কিন্তু গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে অন্য কোনো সংকেতের দিকে মনোযোগ খুব একটা দেওয়া হয়না।
গর্ভাবস্থার লক্ষণ শুধুমাত্র একটি পিরিয়ড মিস করা নয়, আরও কিছু সংকেতও গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক কী সেই সংকেত গুলো
স্তনে পরিবর্তন হওয়া : স্তনে ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং ভারী হওয়া গর্ভাবস্থার লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় গর্ভাবস্থার প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে এই সমস্যা শুরু হয়।
স্রাব: যদিও যোনিপথ থেকে স্রাবও কারণ হতে পারে, তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি গর্ভাবস্থার সংকেতও। অনেক মহিলা গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে যোনি স্রাবের মতো সমস্যার মধ্য দিয়ে যান। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এই স্রাব হতে পারে।
শরীরের হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া: শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। সংক্রমণের কারণে, কারও ঠান্ডার কারণে বা অন্য কোনও কারণে জ্বর হওয়া সাধারণ ব্যাপার। যার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তবে কখনও কখনও এটি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণও বটে।
ক্লান্ত বোধ : ক্লান্তি এবং দুর্বল বোধ করার মতো সমস্যা হয় তবে অবশ্যই একবার আপনার গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করানো দরকার, কারণ অনেক সময় এটি গর্ভবতী হওয়ার ইঙ্গিতও দেয়।
রক্তপাত: পিরিয়ডের ছাড়াও কখনও হাল্কা যোনিপথে রক্তপাত হয়, তবে একবার গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা উচিৎ। রক্তপাত, ক্র্যাম্প অনুভব করাও গর্ভাবস্থার লক্ষণ।
মেজাজ পরিবর্তন এবং মাথা ঘোরানো : কখনও কখনও গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মেজাজের পরিবর্তন ঘটে। এতে হঠাৎ কান্না পাওয়া, কখনো রাগ হওয়া, কখনো খুশি আবার কখনো কোনও কিছু নিয়ে উত্তেজিত হওয়া স্বাভাবিক হয়।
এসব উপেক্ষা না করে অবশ্যই গর্ভাবস্থার চেক আপ করানো উচিৎ। এছাড়াও, ঘন ঘন মাথা ঘোরাও গর্ভাবস্থার লক্ষণ হতে পারে।
No comments:
Post a Comment