প্রতিটি শিশুর বৃদ্ধির হার আলাদা। আপনিও যদি চান আপনার সন্তানের উচ্চতা এবং ওজন নিখুঁত হোক, তাহলে আপনার জীবনযাত্রা এবং অভ্যাসের পরিবর্তন করুন।
* শিশুর ওজন এবং উচ্চতা ট্র্যাক রাখুন। পাশাপাশি ডাক্তারের দ্বারা নিয়মিত চেকআপ করাতে থাকুন। শিশুর বিকাশে কোনো বাধা থাকলে রুটিন চেকআপের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে তা ধরা পড়বে।
* ব্যালেন্স ডায়েট দিন। একটি খাদ্য যা সমস্ত প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি অন্তর্ভুক্ত করে। বার্গার, পিৎজা, কোল্ড ড্রিংকসের মতো জাঙ্ক ফুড থেকে শিশুকে দূরে রাখুন। কার্বোহাইড্রেটের জন্য গমের রুটি, ব্রাউন ব্রেড ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে।
* খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এছাড়াও ভিটামিন ডি এর জন্য শিশুকে সূর্যের আলোতে যেতে বলুন। শরীর ও পেশীর বিকাশের জন্য ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
* জিঙ্ক শরীরের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার, যেমন গম, চিনাবাদাম, কেওড়া এবং কুমড়া অন্তর্ভুক্ত করুন।
* শিশুদের জন্য দিনের তিনবারই ডায়েট করা জরুরি। মেটাবলিজম শক্তিশালী রাখতে, তিনটি খাবারের মধ্যে 4 থেকে 5টি ছোট স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস দিন।
* বিকাশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম থাকা। ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হলে, শিশু প্রায়ই অসুস্থ হবে। রোগ শরীরের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে খাবারে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বাড়ান।
* চা, কফির মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়ের অভ্যাস করবেন না।
* শিশুর উচ্চতা কম হলে তার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করুন। তার খাবারের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি তাকে স্কুলের খেলাধুলা বা অন্যান্য কাজে অংশগ্রহণ করতে বলুন। তাকে বিখ্যাত ব্যক্তিদের উদাহরণ দিন যাদের উচ্চতা কম, তবুও তারা সফল।
* উচ্চতা বাড়ায় এমন বিজ্ঞাপন উপেক্ষা করুন। বিজ্ঞাপন দেখে শিশুকে কোনো ওষুধ বা ক্যাপসুল দেবেন না। এগুলো বিপজ্জনক হতে পারে।
* পুষ্টিকর খাবার, ব্যায়ামসহ সব কিছুর যত্ন নেওয়ার পরও যদি উচ্চতা না বাড়তে থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
No comments:
Post a Comment