আজকাল আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে হঠাৎ করেই সর্দি, কাশি ও জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। ক’দিন আগে ঠাণ্ডা কড়া নাড়লেও মাঝখানে আবার গরম। এখন আবার আবহাওয়া পাল্টে গেছে।
সন্ধ্যায় দমকা হাওয়া বইছে। এমতাবস্থায় অবহেলা করলে তার অসুস্থ হওয়া নিশ্চিত। শীতের শুরুতে বৃদ্ধ ও শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হয়, অসাবধানতা অবলম্বন করলে এই ঋতু তাদের বেশি প্রভাবিত করে এবং অসুস্থ করে তোলে।
বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও ভাইরাল রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সদর হাসপাতালে প্রতিদিন ৭০টির বেশি শিশু চিকিৎসা নিতে আসছে। ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় ভাইরাল সংক্রমণের শিকার হচ্ছে শিশুরা।
সর্দি-কাশির অবিলম্বে চিকিৎসা না হলে শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়া হতে পারে। ঠান্ডা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুবই জরুরী।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাজেশ কুমার জানান, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় নবজাতক শিশু, ছোট শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
নবজাতক ও ছোট শিশুরা এই মৌসুমে সর্দি, কাশি, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে বয়স্কদেরও ঠাণ্ডা মৌসুমে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
পরিবর্তনশীল আবহাওয়া অনুযায়ী সবাইকে নিরাপদ থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশুর মাকে এর রক্ষণাবেক্ষণ ও খাবারের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
লক্ষণ: হাঁচি,
নাক দিয়ে জল পড়া,
গলা ব্যথা বা কাশি,
জ্বর,
বমি ও ডায়রিয়া
রক্ষা পাওয়ার উপায় : সকাল-সন্ধ্যা গরম কাপড় পরে তবেই ঘর থেকে বের হন, পায়ের মাধ্যমে ঠান্ডা শরীরে প্রবেশ করে, তাই পায়ে মোজা ও জুতা পরিধান করুন।
গাড়ি চালানোর সময় হাতে গ্লাভস পরতে হবে। খাবারের সাথে এবং অন্য সময়ে কিছু গরম জল পান করুন। ছোট বাচ্চাদের ঠান্ডা বাতাস লাগতে দেবেন না। এই শীতকালে রোজ শিশুকে নিয়ে রোদে বসতে ভুলবেন না।
No comments:
Post a Comment