প্রেগন্যান্সি কিট কীভাবে ব্যবহার করা যথোপযুক্ত? - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 12 December 2021

প্রেগন্যান্সি কিট কীভাবে ব্যবহার করা যথোপযুক্ত?



বিয়ের পর, সব দম্পতি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করে। যদিও গর্ভাবস্থার প্রথম লক্ষণ হল পিরিয়ড মিস হওয়া, কিন্তু যখন কেউ সন্তানের নেওয়ার জন্য খুব মরিয়া হয়, তখন তারা অপেক্ষা করতে পারে না, বা বলা যায় অপেক্ষা করতে চায়না।



 ঘরে প্রেগন্যান্সি কিট এনে ডিম্বস্ফোটনের ১ সপ্তাহ পর থেকে ইউরিন প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা শুরু করে। অনেক মহিলা আছেন যারা প্রেগন্যান্সি কিটও ব্যবহার করেন। কিন্তু তারা এটা ব্যবহার করার সঠিক উপায় জানেন না।



 এমন অনেকেই অভিযোগ করেন যে যখন তারা  প্রস্রাব করেন, কীট , ১-২ মিনিটের জন্য মাত্র ১ লাইন এসেছিল কিন্তু ৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর তারা দ্বিতীয় লাইনের আলো দেখে দেখা গেল, এটা কি প্রেগন্যান্সি? আসুন আজকে জেনে নিই প্রেগন্যান্সি কিটে সঠিক ফলাফল দেখার উপায় কী এবং কতক্ষণ রাখা উচিৎ? 



প্রেগন্যান্সি কিট ব্যবহারের সঠিক সময়: প্রেগন্যান্সি কিটে সবসময় সকালের প্রস্রাব ব্যবহার করতে হয়।  যদিও কিছু ডাক্তার বলেছেন যে কিটটি দিনের যে কোনও প্রস্রাবের সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। 



কিটটি ব্যবহার করতে, প্রথমে কিটটি খুলুন এবং একটি ড্রপারের সাহায্যে কিটে ৪ ফোঁটা প্রস্রাব যোগ করুন।  প্রস্রাব করার পরপরই, কিটটিতে যেই মহিলার শরীরে এইচসিjজি হরমোন পড়ে তখন ফলাফলটি স্ক্রিনে প্রদর্শন করে।



  এর জন্য মাত্র ২ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।  যদি ২ মিনিটের মধ্যে কিটের স্ক্রীনে ২ লাইন দেখায়, তাহলে তার মানে আপনি গর্ভবতী এবং যদি মাত্র ১ লাইন আসে তাহলে আপনি গর্ভবতী নন।


  অনেকেই আছেন যারা কিটে প্রস্রাব করার ৫ মিনিট পর ফলাফল দেখতে পান।  এই পদ্ধতি সঠিক নয়।  কারণ ৫ থেকে ৭ মিনিটের পরেও আপনি যদি গর্ভবতী না হন, তবুও আপনি সেখানে একটি হালকা রেখাই দেখতে পাবেন।  ডাক্তাররা ২ বা তার বেশি মিনিটের মধ্যে ফলাফল পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।



বন্ধ্যাত্ব ২ প্রকারের : একদিকে যেমন সময় এগিয়ে চলেছে,  নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, অন্যদিকে বাড়ছে বন্ধ্যাত্বের গ্রাফ।  বন্ধ্যাত্ব দুই প্রকার, প্রথমটি হল প্রাথমিক বন্ধ্যাত্ব এবং দ্বিতীয়টি হল সেকেন্ডারি বন্ধ্যাত্ব।



 প্রাথমিক বন্ধ্যাত্ব হল যেখানে একজন বিবাহিত দম্পতি ১ বছরের সুরক্ষা ছাড়াই সহবাস করলেও মহিলা গর্ভধারণ করতে সক্ষম হয় না।  আর সেকেন্ডারি বন্ধ্যাত্ব হল এমন যেটিতে একজন মহিলা গর্ভধারণ করতে পারে না।


 এর পেছনে নারী-পুরুষ উভয়ই দায়ী হতে পারে।  স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অর্চনা নিরুলা বলেছেন যে প্রায় ৪০% পুরুষ বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী।  তাই সবার আগে পুরুষের বীর্য বিশ্লেষণ করা উচিৎ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad