মথুরার শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি-ইদগাহ কমপ্লেক্সে কড়া নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন, এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা

উত্তরপ্রদেশের মথুরায়, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার মতো কিছু সংগঠন আজ, সোমবার শাহী ইদগাহ মসজিদে জলাভিষেক করার ঘোষণা করেছিল।  কিন্তু এখন জলাভিষেক দিল্লীতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।  যদিও এই তথ্যের পর মথুরায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।  মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদ ও এর আশপাশে কড়া পাহারায় রাখা হয়েছে নিরাপত্তাকর্মীরা।  উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, পিএসি কর্মী এবং আরএএফ সদস্যদের মসজিদের আশেপাশে মোতায়েন করা হয়েছে।  গতকাল,রবিবার অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার জাতীয় সভাপতি, রাজশ্রী চৌধুরী মথুরার পরিবর্তে আজ ১২ টায় দিল্লীর যন্তর মন্তরে জলাভিষেক আয়োজনের ঘোষণা করেছিলেন।

মসজিদের দিকে যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে তল্লাশি করা হচ্ছে

মসজিদের দিকে যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির পরিচয়পত্র আগে চেক করা হচ্ছে, তারপর সে অনুযায়ী তল্লাশি করা হচ্ছে।  তার পরই তাকে মসজিদের দিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে।  মথুরা পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়াতেও কড়া নজর রাখছে।  এসএসপি মথুরার মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক পোস্ট করার জন্য এখন পর্যন্ত ৪ টি ভিন্ন এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।  আজ শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ও শাহী ইদগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের আশেপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে, এ জন্য ট্রাফিক অ্যাডভাইজরি জারি করা হয়েছে।

মথুরা পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য পাওয়া গেছে যে, কিছু সংস্থা ৬ ডিসেম্বর এবং এর আশেপাশে এখানে কিছু ভ্রমণ ইত্যাদি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।  এ জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি এবং প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হলেও আমরা এ ধরনের কোনও ভ্রমণ ইত্যাদির অনুমতি দিতাম না।  মথুরার এসএসপি বলেছেন যে আমরা ইদগাহ মসজিদের চারপাশে স্থানীয় পুলিশ বাহিনীকে ডেকেছি, অন্যান্য জেলা ছাড়াও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  বিপুল সংখ্যক RAF এবং PAC কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।

এসএসপি বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মসজিদের কাছাকাছি এলাকায় ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে।  আমরা অনেককে আটক করেছি, অনেককে নিষিদ্ধ করেছি।  সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা উসকানিমূলক ট্যুইট ও পোস্ট করছে তাদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।  যারা কিছু উসকানিমূলক পোস্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।  আমরা ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করছি এবং সিসিটিভির মাধ্যমেও নজরদারি করছি।  বড় কথা হল আমরা স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে অনেক সমর্থন পাচ্ছি, আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি এবং মথুরায় সম্পূর্ণ শান্তি রয়েছে।"