স্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিয়মিত একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । একইভাবে, আয়ুর্বেদ অনুসারে, প্রতিদিন একটি করে আমলকি খাওয়া শরীরকে প্রায় ২০ টি রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। আমলা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এছাড়াও পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এবি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ পদার্থ, পলিফেনল এবং মূত্রবর্ধক অ্যাসিডও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
আমলকি ফল, ফুল, বীজ, পাতা, বাকল ও গাছের শিকড় আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই সব জিনিস চোখ, চুল এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আমলা বীজের গুঁড়ো সঠিক পরিমাণে খেলে কী কী রোগ কমানো যায় তার বিস্তারিত আমরা জানতে যাচ্ছি।
১। নাক থেকে রক্তপাত
নাকের আলসারের সমস্যা কমাতে আমলা বীজ ব্যবহার করা উচিৎ। ঘিতে আমলকি বীজ ভাজুন। তারপর এই বীজগুলিকে মিক্সারে কিছু জলে ভিজিয়ে রাখুন ও পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। পেস্ট তৈরি হওয়ার পরে, এটি কপালে লাগান।
২। চোখের সমস্যা
আমলকি বীজ চোখের সমস্যা নিরাময়েও ব্যবহার করা হয়। আমলা বীজ মিক্সারে পিষে চোখের পাতায় ও চোখের নিচে লাগালে আরাম পাবেন। চোখ চুলকানো, চোখ জ্বালাপোড়া, লাল চোখ ইত্যাদি নিরাময় করে এই বীজ।
৩। শরীরে পিত্তথলির সমস্যা
এশিয়ান প্যাসিফিক জার্নাল অফ ট্রপিক্যাল ডিজিজেস দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা অনুসারে, আমলা বীজের গুঁড়ো পিত্তথলি, কিডনি এবং মূত্রাশয়ের পাথরের প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এই পাউডার সঠিকভাবে খেলে পাথরের কারণে প্রস্রাব, ফোলা ইত্যাদি সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি আমলকির রস পান করা এবং আমলকি খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৪। লিউকোরিয়া থেকে মুক্তি পান
আচার্য বালকৃষ্ণের মতে, লিউকোরিয়া প্রতিরোধে শুকনো আমলকির বীজের গুঁড়া তৈরি করে সপ্তাহে দুবার খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। আরেকটি সমাধান হল তিনটি আমলা বীজ নিয়ে জলে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি এক গ্লাস জলে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি অন্য গ্লাসে ঢেলে দিন। এতে এক চামচ মধু যোগ করুন। দিনে একবার এই মিশ্রণটি পান করুন। এটি ধীরে ধীরে লিউকোরিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
আমলকি বীজের গুঁড়ো সঠিকভাবে ব্যবহার ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি ১ - বীজের গুঁড়া তৈরি করুন এবং নারকেল তেলে মেশান। এই পেস্ট শরীরের আক্রান্ত অংশে লাগান। ধীরে ধীরে আপনি কয়েক দিনের মধ্যে আপনার ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
দ্বিতীয় পদ্ধতি - আমলকির বীজ ভাজুন এবং গুঁড়া তৈরি করুন। এই গুঁড়ো নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। এই প্রতিকার ত্বকের চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
জ্বর ও পিত্তের জন্য উপকারী
আয়ুর্বেদ অনুসারে, আমলা বীজ জ্বর ও পিত্তের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আমলা খেলে শরীরে শীতলতা আসে। কাশির সমস্যাও চলে যায়। এর ঔষধিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। তারা দূষণ থেকে ফুসফুসকেও রক্ষা করে।
No comments:
Post a Comment