শিশুদের স্টাডি রুমের সাথে সম্পর্কিত কিছু বাস্তু টিপস, যে অনুসারে ঘর সাজিয়ে নিলে শিশুদের পড়াশুনার সাথে সম্পর্কিত পরিবর্তনগুলি অবশ্যই দেখা যাবে।
যে কোনও পরিবারের জন্য শিশুরা গুরুত্বপূর্ণ। তারা বাবা-মাকে জীবনযাপনের একটি উদ্দেশ্য দেয়। প্রত্যেক পিতা-মাতারই কাম্য যে তারা তাদের সন্তানকে সব ধরনের সম্পদ একত্রিত করে সর্বোত্তম শিক্ষা প্রদান করতে পারে যাতে তারা তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে সফল হতে পারে। যাতে তার ব্যক্তিত্ব আরও বিস্তৃত হয় এবং তিনি নিজেই তার জীবনের নৌকা চালাতে পারেন।
পিতামাতারা শিশুদের জন্য সবচেয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত এবং এর জন্য তারা অনেক কষ্টও করেন। পিতামাতারা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল এবং তারা সফল হওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। তারপরও অভিভাবকরা নিজেদের কষ্টে রেখে সব সুযোগ-সুবিধা দিলেও ছেলেমেয়েরা যখন পড়ালেখায় ভালো লাগে না আর কী পড়ে, অচিরেই ভুলে যায়। কঠোর পরিশ্রম করলেও ফল ভালো হয় না। এমন পরিস্থিতিতে সন্তানকে তিরস্কার না করে
যদি সমস্যার মূলটা বোঝার চেষ্টা করা হয়, তাহলে অবশ্যই কিছু সমাধান পাওয়া যাবে, কিন্তু তারপরও যদি এর কর্মক্ষমতার কোনও উন্নতি না হয়, তাহলে একবার শিশুর স্টাডি রুম বা পড়ার জায়গাটা নজরে পড়ে। অনেক সময় পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ভালো না থাকলে কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না। মনটা ওঠানামা করতে থাকে। তাই আজ আমরা আপনাকে শিশুদের স্টাডি রুমের সাথে সম্পর্কিত কিছু বাস্তু টিপস জানাতে যাচ্ছি, যেগুলি অনুসারে রুমে সাজিয়ে রাখলে অবশ্যই শিশুদের মধ্যে পড়াশুনার সাথে সম্পর্কিত পরিবর্তন দেখা যাবে।
শিশুদের রুমে যদি স্টাডি টেবিল রাখতে হয় তবে সেটা দক্ষিণ দিকে রাখুন, যাতে পড়াশোনার সময় শিশুর মুখ উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে থাকে। এতে তারা পড়াশোনায় মনোযোগী হবে। এই দিকগুলির মুখোমুখি হলে ইতিবাচক শক্তি আসে, যা স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং বুদ্ধি বিকাশ করে। পড়াশুনার সময় যদি তাদের মনোযোগ এদিক ওদিক বেশি ঘুরতে থাকে, তাহলে একবার চেষ্টা করে দেখুন।
বইয়ের আলমারিটি পূর্ব বা উত্তর দিকে তৈরি করা উচিৎ এবং এটি অবশ্যই প্রতিদিন পরিষ্কার করা উচিৎ।
প্রতিদিন গণেশ পূজা করা শিশুদের বুদ্ধিমত্তা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির একটি দুর্দান্ত উপায়। এটি শিশুদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হতে সক্ষম করে।
শিশুদের ঘরে সবসময় সুখের ছবি থাকা উচিৎ। তাদের ঘরে মহান ব্যক্তিদের ফটো রাখুন। যাতে তারা তাদের মতো হওয়ার কথা ভাবে। ঘরের পূর্ব দিকে মা সরস্বতীর ছবি লাগাতে পারেন।
শিশুর কিছু বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে ঘরের উত্তর দিকে ব্রহ্মদেবের ছবি বা পেইন্টিং লাগান। এটি তাদের সব বিষয় সহজে বুঝতে সাহায্য করবে।
স্টাডি রুম কখনই টয়লেটের কাছে তৈরি করা উচিৎ নয় কারণ টয়লেট থেকে আসা নেতিবাচক শক্তি পড়াশোনা থেকে মনকে বিরক্ত করে।
অধ্যয়ন কক্ষ সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং বই ছড়িয়ে ও এলোমেলো করে রাখবেন না, এতে শিশুদের মন একাগ্র হয় এবং ইতিবাচক শক্তি পাওয়া যায়।
সবুজ সমৃদ্ধির প্রতীক, তাই তাদের ঘরে সবুজ রংই সবচেয়ে ভালো। এই রঙ সতেজতা এবং প্রশান্তি প্রদান করে। হালকা হলুদ, গোলাপি, আকাশী রং ইত্যাদিও করা যায়।
শিশুদের প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবা-মা ও বড়দের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিতে হবে। যখনই পড়তে বসবেন, দুধে মধু মিশিয়ে পান করুন। বাস্তু অনুসারে, এটি করা শুভ বলে মনে করা হয়। এতে শিশুর একাগ্রতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি তারা পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও সাফল্য পায়। আপনিও সমাজে সুনাম পাবেন।
No comments:
Post a Comment