দিন অনুযায়ী তিলক লাগালে নেতিবাচকতা দূরে থাকে।
হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, কোনও দেবতা বা দেবতার উপাসনা তখনই সিদ্ধ বলে বিবেচিত হয় যখন উপাসনা আইন অনুসারে করা হয়।
পূজার সময় কপালে ভগবানের নামের তিলক লাগান। এমন পরিস্থিতিতে, সনাতন ধর্ম অনুসারে, সপ্তাহের সাতটি দিন বিভিন্ন দেবতাকে উত্সর্গ করা হয়, যারা আমাদের সমস্ত ধরণের ঝামেলা এবং দুঃখ দেয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন তিলক লাগানোর উপায়ও আলাদা।
কোন দিন চন্দনের তিলক লাগানো হয় আবার কোন দিন রোলির। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সপ্তাহের সাত দিন কপালে তিলক লাগানোর নিয়ম কী কী।
দিন অনুসারে কপালে তিলক লাগান
১. সোমবার
সোমবারকে শিবের দিন হিসেবে ধরা হয়। এই দিনের শাসক গ্রহ হল চন্দ্র, তাই এই দিনে শ্বেত চন্দন, বিভূতি বা ভস্মের তিলক লাগাতে হবে। এতে করে ভোলেনাথ খুব খুশি হন এবং তাঁর কৃপা বজায় থাকে।
২. মঙ্গলবার
মঙ্গলবার হনুমান জির পূজা করা হয় এবং এই দিনের শাসক গ্রহ হল মঙ্গল। এই দিনে লাল চন্দন বা জুঁই তেলে গলিয়ে সিঁদুরের তিলক লাগানোর প্রথা রয়েছে। এতে করে জীবনের সকল ঝামেলা দূর হয় এবং মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।
৩. বুধবার
বুধবার গণেশ জির দিন। এই দিনের গ্রহ অধিপতি বুধ। এদিন শুকনো সিঁদুরের তিলক করা হয়। এতে করে মানুষের কর্মক্ষমতা যেমন পায় তেমনি বৃদ্ধি পায়।
৪. বৃহস্পতিবার
বৃহস্পতিবার ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয়। এই দিনের শাসক গ্রহ হল বৃহস্পতি। এই দিনে শ্বেত চন্দন পাথরে ঘষে তাতে জাফরান মিশিয়ে তিলক লাগান। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি অর্থ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে।
৫. শুক্রবার
শুক্রবার মাতা লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। এই দিনের গ্রহের অধিপতি শুক্র। এই দিনে লাল চন্দনের তিলক লাগানো হয়। এ কারণে ঘরে রয়েছে আরামের আবাস। এই দিনে সিঁদুরের তিলক লাগালে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
৬. শনিবার
শনিবার ভৈরব, শনি ও যমরাজের দিন। এই দিনের গ্রহ অধিপতি শনি। এই দিনে বিভূতি, ভস্ম বা লাল চন্দন প্রয়োগ করলে ভৈরব প্রসন্ন হন এবং জীবন উপকার করেন।
৭. রবিবার
রবিবার সূর্য দেবকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনের গ্রহকর্তা হলেন সূর্য, যিনি গ্রহদেরও রাজা। এই দিনে লাল চন্দন বা রোলির তিলক লাগাতে হবে। এতে করে সম্মান বাড়ে এবং ভয়ের অবসান ঘটে।
No comments:
Post a Comment