এই দুই দেশের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে আমেরিকা! বিশ্বযুদ্ধের হুমকি বিশ্বজুড়ে

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে।  এদিকে আমেরিকা রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেছে, তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে হামলা চালালে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে বলেছে যে হামলার ঘটনা ঘটলে তাদের কাছে বড় পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না।  এখন যদি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ হয় এবং আমেরিকা তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাহলে দুই দেশের যুদ্ধও বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হতে পারে।

আগামী বছর পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে!
শুক্রবার ইউক্রেন দাবী করেছে যে রাশিয়া সীমান্তে ৯৪,০০০ এরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে এবং জানুয়ারির শেষ নাগাদ সেনার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।  এ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস।  ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেন, "সীমান্তের কাছে এবং ক্রিমিয়ায় রুশ সেনার সংখ্যা আনুমানিক ৯৪,৩০০।  আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্লেষণে দেখা গেছে রাশিয়া বড় পরিসরে সেনা মোতায়েন করতে পারে।  আগামী বছরের মধ্যে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতে পারে।"

'বিডেন প্রশাসন হস্তক্ষেপ করবে'
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, "রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিলে জো বাইডেন প্রশাসন হস্তক্ষেপ করবে।" সাকি আরও বলেন, "রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিবেশী দেশকে আক্রমণ করার জন্য এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।  তাই আমরা সেসব এলাকায় পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে চাই।"  ইউক্রেনের পশ্চিম মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে।  ইউক্রেন বলেছে যে এই একই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি ২০১৪ সালে রাশিয়াকে ক্রিমিয়া সংযুক্ত করতে সহায়তা করেছিল।  যদিও রাশিয়া বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ন্যাটোর কাছে এই অনুরোধ করেছে
এর আগে বুধবার ইউক্রেন সম্ভাব্য হামলা এড়াতে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানায়।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, "তিনি উত্তর আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সমাধানের জন্য আহ্বান জানাবেন।" ইউক্রেনীয় সীমান্তে রাশিয়ার সাম্প্রতিক সামরিক গঠনের প্রতিক্রিয়া এবং স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার থেকে লাৎভিয়ান রাজধানী রিগায় ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করছেন।