কুমড়োর নাম শুনলেই অনেকেরই নাক কুচকে যায় । তবে কুমড়োর পাশাপাশি এর বীজও উপকারী। এটি বড় ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। কুমড়ো ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। এগুলি অবশ্যই আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কুমড়োর মধ্যে অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফোলেট, বিটা ক্যারোটিন, বি২ সমৃদ্ধ। ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই এটি খাওয়া উচিত।
কুমড়োর বীজ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। এর ব্যবহারে সুগার লেভেল ঠিক থাকে। এই বীজ অবশ্যই খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যা খেলে আপনার ক্ষিদে কম লাগবে। আর আপনার ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এর সাথে অস্বাস্থ্যকর জিনিস খাওয়ার অভ্যাসও বন্ধ হবে।
কুমড়োর বীজে রয়েছে কিউকারবিটাসিন, যা এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনি মাথার ত্বকে কুমড়োর বীজের তেলও লাগাতে পারেন, পাশাপাশি প্রতিদিন এক মুঠো কুমড়োর বীজ খেতে পারেন।
এটি ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ। এটি প্রদাহেও উপশম দেয় এবং কোষকেও রক্ষা করে।
এতে রয়েছে প্রচুর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার, যা হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর। এই বীজ খাওয়া খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। এটি খেলে রক্ত চলাচলও ভালো থাকে।
মানসিক চাপের কারণে অনেকেরই ঠিকমতো ঘুম হয় না। এক্ষেত্রে অবশ্যই কুমড়োর বীজ খান। এতে উপস্থিত সেরোটোনিন ভালো, যা স্বাভাবিক ঘুমের দিকে নিয়ে যায়।
বাতের ব্যথা মহিলাদের মধ্যে সাধারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু ক্রমাগত যন্ত্রণা কারুরই ভালো লাগে না। কুমড়োর বীজের তেল লাগালে জয়েন্টের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment