বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে জোট হলেও বাম ও কংগ্রেস রাজ্যে কার্যত শূন্য হয়ে গেছে। এরপর থেকেই জোটের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে দুই দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। বামেদের একটা বড় অংশ কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিরোধী। এ অবস্থায় ডিসেম্বরের পুরভোটের আগে আরেকটি জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি? সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেননি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেন, জনমত সংগ্রহের আগে নতুন দফা আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। গত উপনির্বাচনে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মামলাই আলোচিত হয়েছে। তবে আগামী নির্বাচন নিয়ে আবারও আলোচনা করা দরকার। এটা আগামী সপ্তাহে ঘটতে পারে।"
প্রাদেশিক কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের মন্তব্যকে খারিজ করেননি। জোট প্রসঙ্গে প্রদীপ বাবু বলেন, "প্রি-ভোট/পুরভোট হল আঞ্চলিক স্তরের ভোট। তাই প্রাদেশিক পর্যায়ে আলোচনা হবে। তাই বিষয়টি প্রাদেশিক নেতৃত্বের ওপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো। বামপন্থী নেতারা এ বিষয়ে কোনও পর্যালোচনা চাইলে আমরা আলোচনা করব। তবে রাজ্যে গত নির্বাচনের মনোভাব না বদলাতে পারলে চলবে না।"
গরিব মানুষের মধ্যে বিনামূল্যের খাদ্যশস্য বিতরণ বন্ধ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ সৌগত রায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর আবেদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়ে এই অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বিনামূল্যে রেশন দেওয়া বন্ধ করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বামপন্থীরাও সোচ্চার হয়েছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সাফ বলেছেন, "করোনা পরিস্থিতিতে বিনামূল্যের রেশন বন্ধ করা উচিৎ হয়নি। অবশ্যই, বিনামূল্যে যে রেশন দেওয়া হচ্ছে তা অব্যাহত রাখতে হবে।"
পাশাপাশি তিনি পেট্রোলিয়াম পণ্য নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকেও কটূক্তি করেছেন। ক্রমাগত বৃদ্ধির পর সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের শুল্ক কমিয়েছে। একই ধারায়, বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যও তাদের কর কমিয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিমান বসু বলেন, 'কেন্দ্র যখন দাম কমিয়েছে, তখন রাজ্যেরও দাম কমানো উচিৎ।'
No comments:
Post a Comment