চা কিছু মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যারা দিনে অনেকবার চা পান করেন। আবার এমন কিছু মানুষ আছেন যারা দিনে মাত্র দু'বার চা পান করেন। কিন্তু এই দুইবারই তাদের চা প্রয়োজন… মানে তারা এটা এড়িয়ে যেতে পারেন না। বাড়ির বাইরে থাকলেও কোনও না কোনও ভাবে চায়ের চাহিদা তাদের চায়ের দোকানের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
চা পান করা বা না করার পেছনে প্রত্যেকেরই নিজস্ব যুক্তি রয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, চা পানের অনেক উপকারিতা রয়েছে? হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং (HHP)- এর মতে সীমিত পরিমাণে নিয়মিত চা পান করলে হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমে যায়। যদিও চায়ের বেশির ভাগই জল, কিন্তু কিছু পরিমাণ ক্যাফেইনও পাওয়া যায়। মায়ো ক্লিনিকের মতে, ৫০০ মিলিগ্রাম বা তার বেশি ক্যাফিন খাওয়া না হলে, এটি মূত্রবর্ধক হিসাবে কাজ করে না।
দুধ চা:
পুষ্টিবিদ দিব্যা গান্ধীর মতে, আপনি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কাপ দুধ চা পান করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি আপনার শরীরের ক্যালোরি কমাতে চান অর্থাৎ ওজন কমাতে চান, তাহলে তা না খাওয়াই ভালো। কারণ দুধ চায়ে ১০২ ক্যালোরি থাকে, এতে ক্যাফিনের পরিমাণ ৩২-৩৭ মিলিগ্রাম।
সবুজ চা এবং কালো চা:
অন্যদিকে, গ্রিন টি তে রয়েছে ২ ক্যালরি এবং ২৮ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন। আপনি দিনে ৪ থেকে ৫ বার গ্রিন টি খেতে পারেন। ব্ল্যাক টি-তেও গ্রিন টি-এর সমান ক্যালোরি রয়েছে, অর্থাৎ ২। তবে এতে সর্বোচ্চ পরিমাণ ক্যাফিন রয়েছে, ৪৭ মিলিগ্রাম। আপনি এটি দিনে ৩ থেকে ৪ বার পান করতে পারেন।
নন-ক্যাফিনযুক্ত চা সেরা:
এখন যারা কালো চায়ের অনুরাগী তাদের জন্য বাজারে ক্যাফেইন-হীন কালো চাও রয়েছে। নন-ক্যাফিনযুক্ত কালো চায়ে ক্যালোরির পরিমাণ ২, যেখানে ক্যাফিনও রয়েছে মাত্র ২ মিলিগ্রাম। এটি দিনে ৫ থেকে ৬ কাপ নেওয়া যেতে পারে।
গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
পুষ্টিবিদ দিব্যা গান্ধীর মতে, গ্রিন টি কে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী বলা হয়। এতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, যা খারাপ কোলেস্টেরল এবং রক্ত জমাট বাঁধা কমায়। এতে হার্ট সুস্থ থাকে।
No comments:
Post a Comment