গর্ভাবস্থার সময়টি প্রতিটি মহিলার জন্য খুব বিশেষ।কারণ এই সময়ে অনেক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যান।এছাড়াও চুল পড়ার সমস্যাতো রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন,সাধারণভাবে একজন মানুষের মাত্র ১০ শতাংশ চুল পড়ে না।
তবে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের এই সমস্যা বেশি হতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্রৈমাসিকে গর্ভবতী মহিলাদের এই সমস্যা দেখা দেয় এবং প্রসবের পরও কয়েক মাস চুল পড়ার সমস্যা চলতেই থাকে। যদিও গর্ভাবস্থায় চুল পড়ার সমস্যা প্রায়ই হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে, তবে এর অন্য কারণও থাকতে পারে। জেনে নিন গর্ভাবস্থায় চুল পড়ার কারণ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
শরীরে থাইরয়েডের অভাব: চুলের রক্ষণাবেক্ষণে থাইরয়েড হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের এই হরমোনের ঘাটতি হয়, যার কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
পুষ্টির ঘাটতি: গর্ভবতী মহিলাদের বেশি পুষ্টি প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের আয়রন, জিঙ্ক এবং ফলিক অ্যাসিডের মতো পুষ্টির অভাবের কারণেও চুল পড়তে পারে।
জেনেটিক ফ্যাক্টর: কিছু কিছু নারীর জিনগত কারণেও চুল পড়া হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যদি আপনার মা, দাদী বা নানীর এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে তা আপনাকেও প্রভাবিত করতে পারে।
এই প্রতিকার: চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, গর্ভবতী মহিলাদের হালকা গরম হাতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট নারকেল তেল ম্যাসাজ করা উচিৎ । সপ্তাহে তিনবার নারকেল তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। এই প্রতিকারটি নিয়মিত অবলম্বন করলে কয়েক দিনের মধ্যেই পার্থক্য দেখতে পাবেন।
এলোভেরা জেলটি মাথার ত্বকে ১০ মিনিটের জন্য ম্যাসাজ করুন। তারপর ১৫ মিনিটের জন্য চুল এভাবে রেখে দিন। এর পরে, জল দিয়ে মাথা ধুয়ে শ্যাম্পু করুন।
No comments:
Post a Comment