আতসবাজির বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে রক্ষা পেতে পরুন মাস্ক - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 4 November 2021

আতসবাজির বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে রক্ষা পেতে পরুন মাস্ক

 


দীপাবলিতে মাঠে খড় পোড়ানো এবং আতসবাজিতে সৃষ্ট দূষণ আপনার স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত মাস্ক পরুন। এর মাধ্যমে যেমন বায়ু দূষণ কম ক্ষতি করবে, তেমন করোনা সংক্রমণ থেকেও রক্ষা পাবেন।  এক বিশেষ সভায় সিএমও ডাঃ মধু গৈরোলা এ তথ্য জানান।  


ডাঃ গৈরোলা বলেন, "পটকা থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া দূষণ চোখ, নাক, গলার পাশাপাশি ফুসফুসেও প্রভাব ফেলে।  এটি প্রতিরোধ করার জন্য, আতসবাজি জ্বালানোর   সময় আপনার মুখ এবং নাক ভালভাবে মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। " পটকা থেকে সৃষ্ট দূষণ থেকে বয়স্ক ও শিশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিতে গিয়ে সিএমও বলেন, "দূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জিজনিত রোগ হয়।  উভয় রোগের লক্ষণ একে অপরের অনুরূপ।  করোনাও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষকে আক্রমণ করে।"


  এই যুগে সতর্কতাই একমাত্র চিকিৎসা।  তাই শিশুদের আতসবাজি থেকে দূরে রাখা জরুরি।  শিশুরা যদি আতসবাজি ফাটাতে জেদ করে, তাহলে আপনার তত্ত্বাবধানে শিশুদের পটকা ফাটাতে দিন। শিশুরাই শুধু পটকা থেকে ওঠা ধোঁয়া থেকে দূরে থাকবে না, আপনিও দূরে থাকবেন।  পটকা ফাটানোর সময় সঙ্গে এক বালতি ভর্তি জল রাখুন।


 সিএমও বলেন, " দীপাবলির আতসবাজির কারণে বাতাসে দূষিত কণার সংখ্যা বেড়ে যায়। যার ফলে চোখে জ্বালা, নাক ও গলা ব্যথা, কাশি, শ্বাস নিতে অসুবিধা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা এবং ঠান্ডাও লাগতে পারে। এতে শিশু ও বৃদ্ধদের বেশি ঝুঁকি থাকে। "


 টিবি ও হাঁপানির রোগীদের নির্ধারিত সময়ে ওষুধ খেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।  বাড়ির বয়স্কদের  বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।  আতসবাজির পাশাপাশি যানবাহন, শিল্প ও খড় পোড়ানোর ধোঁয়ায় অনেক বিষাক্ত উপাদান নির্গত হয় যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হয়।  তাদের বাড়িতে নিরাপদে রাখুন। জরুরি প্রয়োজনে পূর্ণ সতর্কতার সাথে তাদের বাইরে নিয়ে যান।  সন্ধ্যায় তাদের বাড়ির বাইরে যেতে না দেওয়াই ভালো।


 স্যানিটাইজড হাত দিয়ে পটকা ফাটাবেন না। করোনার পরিপ্রেক্ষিতে এই মুহূর্তে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন, কিন্তু আতসবাজি ফাটানোর সময় স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বিপজ্জনক হতে পারে।  এছাড়াও, স্যানিটাইজারের সঙ্গে  পটকা রাখবেন না।  আতশবাজি ফাটানোর পর সাধারন জল দিয়ে হাত ধোয়ার আধাঘন্টা পরই হাত স্যানিটাইজ করুন।  কারণ স্যানিটাইজারে দাহ্য উপাদান থাকে যা যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে।


 আতশবাজিতে গানপাউডারের উপাদান থাকে, যা কিছু লোকের জন্য অ্যালার্জির কারণ এবং এই ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।  তবে অ্যালার্জি না থাকলেও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। পটকা ফাটানোর  আগে ত্বকে সানস্ক্রিন বা তেল লাগান।  চোখের জন্য জিরো পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করতে হবে, যাতে কোনোভাবেই স্পার্ক চোখে না পড়ে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad