ত্রিপুরায় সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে রিপোর্ট করার জন্য বিপ্লব দেব সরকারের ক্রোধের মুখোমুখি হলেন দুই মহিলা সাংবাদিক। রবিবার রাতে ত্রিপুরা থেকে আসামের গুয়াহাটি যাওয়ার পথে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেন। আসাম পুলিশ তাদের ত্রিপুরা সীমান্তের কাছে করিমগঞ্জ জেলার নিলাম বাজার থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
সোমবার সকালে আসাম পুলিশ তাদের ত্রিপুরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কাভার করতে গত বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় পৌঁছেছিলেন সমৃদ্ধি সাকুনিয়া এবং স্বরণ ঝা। দুই সাংবাদিকই ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক শান্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করেছেন বলে অভিযোগ করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাংবাদিকদের ত্রিপুরায় ফিরিয়ে আনতে ধর্মনগর থেকে বেশ কয়েকজন মহিলা পুলিশকে করিমগঞ্জ জেলায় পাঠানো হয়েছিল। এইচডাব্লু নিউজ নেটওয়ার্কের জন্য কাজ করা দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সাম্প্রদায়িক সংঘাত উসকে দেওয়া এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
উনকোটি জেলার ফাটিকরাই থানায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক কর্মী। এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কাকরাবন ও কুমারঘাট থানায় আরও দুটি মামলা রয়েছে। ধর্মীয় দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে কুমারঘাট থানায় তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন এক মহিলা।
তবে তিনি ত্রিপুরা পুলিশের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্বর্ণা ঝা ট্যুইট করেছেন যে তিনি কোনও ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেননি। মসজিদ ভাংচুরের বিষয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা হয়। ২১ নভেম্বর ত্রিপুরা পুলিশ তাদের দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল।
তারা ত্রিপুরার গোমতী জেলার উদয়পুরের কাকরাবন এলাকায় গিয়েছিলেন। পশ্চিম ত্রিপুরার সিপাহিজালা জেলার সংখ্যালঘু এলাকা কভার করছেন দুই নারী সাংবাদিক। শনিবার উনকোটি জেলার ফটিকরোয় এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ধর্মীয় স্থানের ছবির জন্য পোজ দেন স্বর্ণা। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
No comments:
Post a Comment