অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পড়ুয়াদের অনশন জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। চিকিৎসক পড়ুয়াদের কলেজ, হোস্টেল, বিদ্যুৎ, পড়াশোনা পরিবেশে থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বার বার আর জি কর সুপার স্পেশালিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসেন। বর্তমানে করোনা চিকিৎসা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন অসংখ্য রোগী। চিকিৎসক পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানিতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ মুখ বন্ধ খামে।
বিক্ষোভ কিছুটা কমলেও সারা হাসপাতালে খারাপ ভাষায় পোস্টার পড়েছে। প্রিন্সিপাল হাসপাতালে আসতে পারছেন না। ভার্চুয়ালে কাজ করছেন। এতে খারাপ ভাষায় পোস্টার পড়েছে। সুমন সেনগুপ্ত , আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন , "ইন্টার্ন ও pgt ছাত্ররা কাজে যোগ দিলেও MBBS ছাত্ররা এখনও বিক্ষোভ করে যাচ্ছে। এতে হাসপাতালের পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।"
অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে বলেন, "রাজ্যের বিখ্যাত হাসপাতালে বিক্ষোভের জেরে পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রিন্সিপালকে হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের বিদ্যুৎ নিয়েই বিক্ষোভ করছে। তাদের সব সমস্যার সমাধানে প্রস্তুত রাজ্য। কিন্তু তারা প্রিন্সিপালের অপসারণে অবিচল। সারা হাসপাতালের করিডোরে পোস্টার পড়েছে তাতে বাজে ভাষার ব্যবহার হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ মত তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে না। ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।"
ইন্টার্নদের পক্ষে আইনজীবী বলেন, "আজকের দিন টা আমাকে সময় দেওয়া হোক। আমি আবেদন জানাচ্ছি আগামীকাল মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হোক।"
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের মন্তব্য, "হাসপাতালে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়া বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি দেখি যে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিক্ষোভ হচ্ছে তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপনি আজকে কেন মামলার শুনানি করবেন না। যেখানে অ্যাডভোকেট জেনারেল নিজে উপস্থিত আছেন।"
ইন্টার্নদের পক্ষে আইনজীবী বলেন," আমরা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কখনওই বিক্ষোভ করছি না। আদালতের নির্দেশ মেনেই এবং আদালতের অনুমতিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। দয়া করে আমাদের আগামীকালের শুনানির সময় দেওয়া হোক।"
এরপরেই মঙ্গলবার আরজিকর মামলার পুনরায় শুনানির দিন ধার্য করল হাইকোর্ট।
No comments:
Post a Comment