শীতে আর্দ্রতার অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পেতে, আপনি মধু, কমলার রস, দুধের ক্রিম, দই এবং বাদাম তেল ইত্যাদি উপাদান ব্যবহার করে একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন।
এই ফেস প্যাকগুলিতে ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শীতকালে বাড়িতে প্যাক মিক্স তৈরি করতে আপনি আপনার রান্নাঘরের শেলফ বা রেফ্রিজারেটরের উপাদানগুলি ব্যবহার করতে পারেন। শীতে ফলের প্যাকও উপকারী।
শীতে এই ৮টি ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করে দেখুন:একটি ডিমের কুসুমে আধা চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ শুকনো দুধের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। পেস্ট মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত এবং ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্য, একটি ডিমের সাদা অংশে আধা চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ দই মিশিয়ে নিন। এতে মুলতানি মাটি যোগ করুন। মিশিয়ে পেস্ট লাগান। ২০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পাকা পেঁপের একটি পাল্প তৈরি করে মুখে লাগান। পেঁপে মৃত কোষ দূর করার কাজ করে। কয়েক মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
গাজর কুঁচি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এর পর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। গাজর ভিটামিন এ সমৃদ্ধ এবং শীতকালে ত্বকের সমস্যার জন্য উপকারী।
১টি পাকা অ্যাভোকাডো, এক চামচ নারকেল তেল, দই এবং মধু একসাথে মেশান। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এর পর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এক চামচ তুষ বা গমের ভুসি: এক চামচ কমলার খোসা এবং দই এবং এক চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান, ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
এক চামচ কমলার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট লাগানোর পর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে কোমল করতে সাহায্য করে।
৩ চামচ তুষের মধ্যে এক চামচ বাদাম, মধু, দই এবং গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এটি ২০ মিনিটের জন্য রেখে দেওয়ার পরে, সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ফেস প্যাকের উপকারিতা: এই ফেসপ্যাকগুলো ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে। ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ছিদ্র পরিষ্কার রাখে এবং সম্পর্কিত অনেক সমস্যা প্রতিরোধ করে। এটি ত্বকের পৃষ্ঠে রক্ত সঞ্চালনও উন্নত করে। এটি ত্বককে কোমল ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment