করোনার প্রকোপ কমতে না কমতেই ফের শুরু হয়েছে মানুষের ভ্রমণ-পিপাসা। তবে ভ্রমণের অর্থ কেবল ভ্রমণের পরিকল্পনা এবং প্যাকিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, আরও কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিত। এর কারণে ভ্রমণের সময় এবং ফিরে আসার পরেও কোনও টেনশন এবং একঘেয়েমি থাকবে না।
১> কোথাও যাওয়ার আগে বিদ্যুতের মেইনসুইচ ভালোভাবে বন্ধ করে নিন যাতে আপনার অনুপস্থিতিতে কোনো কারণে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। বেশির ভাগ মানুষই তাড়াহুড়ো করে বিদ্যুতের মেইনসুইচ তো দূরের কথা,ঘরের লাইট বন্ধ করতেও ভুলে যান। এতে শুধু বিদ্যুৎই নষ্ট হয় না, বাল্ব ফিউজের আশঙ্কাও থাকে । সুতরাং,বের হওয়ার আগে মেইনসুইচ বন্ধ করার জন্য রিমাইন্ডার দিয়ে রাখুন বা মনে রাখা যেতে পারে এমন জায়গায় কোথাও একটি নোট রাখুন।
৩> আপনার যদি রেফ্রিজারেটর থাকে তবে তা থেকে বৈদ্যুতিক সংযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করুন। মিষ্টি, শাকসবজি, খাবার, ফল বা যেকোনো ধরনের পানীয় ফ্রিজে রাখবেন না, কারণ এগুলো বেশিক্ষণ ফ্রিজে থাকতে পারে না।
৩> ওয়াশরুম, রান্নাঘর, বারান্দা সব জায়গায় সঠিকভাবে কল বন্ধ করুন। কোথাও যেন জল জমার জায়গা না থাকে।
৪> আজকাল, রান্নার জন্য প্রতিটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়, তাই আপনি সিলিন্ডারের কারণে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন হয়ে বাড়ির বাইরে যাওয়ার আগে সিলিন্ডারের সুইচ অফ করুন। এতে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও কমে যাবে।
৫> রান্নাঘরে নোংরা বাসন ভুলেও রাখবেন না, কারণ এতে বাসন তো নষ্ট হবেই, সেই সঙ্গে দুর্গন্ধের কারণে নানা রোগের জীবাণু জন্মাবে ।
৬> বাড়িতে কীটনাশক ছিটিয়ে দিলে মশা, পোকা, আরশোলা বা ইঁদুরের উপদ্রব থাকবে না। যদি আপনার বাড়িতে বা আশেপাশে ইঁদুর বেশি সংখ্যায় থাকে, তাহলে ঘরের জিনিসপত্র নিরাপদে রাখার জন্য জানালা ও দরজা বন্ধ করার সময়, ছোট গর্ত থাকলে তা ভালোভাবে বন্ধ করুন যাতে ইঁদুর প্রবেশ করতে না পারে। স্কাইলাইটের গর্তটি বড় হলে, এটিকেও ছোট করুন। ড্রেনের কাছে একটি ইট রাখুন এবং এটি ব্লক করুন।
৭> বাগানে ফুল, গাছপালা ও শাকসবজি থাকলে ভালো করে জল দিন এবং গেট ঠিকমত বন্ধ করুন যাতে গরু, ষাঁড়, কুকুর , ছাগল ঢুকতে না পারে।
৮> যাওয়ার আগে জানালা এবং দরজা শক্তভাবে বন্ধ আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।
No comments:
Post a Comment