খেজুর খেতে খুবই সুস্বাদু। শীতে এটি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। খেজুর পুষ্টিগুণে ভরপুর। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ফ্লোরিন পাওয়া যায়। এ ছাড়া খেজুরে অনেক ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। শীতকালে শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে।খেজুর এই পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস করে।
খেজুর সাধারণত শুকনো খাওয়া হয়। শুকনো খেজুরের পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। খেজুরে কিশমিশ বা ডুমুরের মতো ক্যালোরি থাকে। খেজুরের বেশির ভাগ ক্যালোরি আসে কার্বোহাইড্রেট থেকে।
হেলথলাইনের খবর অনুযায়ী, ১০০ গ্রাম খেজুরে ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। এছাড়াও, এটি ২৭৭ ক্যালোরি শক্তি দেয়। খেজুর পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ভিটামিন বি৬ এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ। এ ছাড়া খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাওয়া যায়। এই কারণেই খেজুর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য সেরা ফল। খেজুরে কোলেস্টেরল থাকে না। চর্বিও খুব কম। তাই হৃদরোগীদের জন্যও এটি উপকারী।
আসুন জেনে নেই খেজুরের উপকারিতা: অনেক কারণে মস্তিষ্কে ইন্টারলিউকিন ৬ পদার্থ জমতে শুরু করে।এটি এক ধরনের প্রদাহ। এর ফলে আলঝেইমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।এক গবেষণায় দেখা গেছে যে খেজুর খেলে মস্তিষ্কে আই এল-৬ কমে যায়। সুতরাং খেজুর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।
খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার এবং সেলেনিয়াম। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে হাড় মজবুত হয়। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। এটি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়। খেজুরে ফাইবারও পাওয়া যায়, যা হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। প্রতিদিন ৩-৪টি খেজুর ভিজিয়ে খেলে পেটের সমস্যা সেরে যায়।
খেজুরে রয়েছে অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষে ফ্রি র্যাডিকেল তৈরি হতে বাধা দেয়। ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে কোষ ধ্বংস হতে শুরু করে। খেজুরে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ডায়াবেটিস, আলঝেইমারের ঝুঁকি প্রতিরোধে উপকারী। একইভাবে ক্যারোটিনয়েড অক্সিডেন্টগুলি পেশীগুলিকে দুর্বল হওয়া থেকে রক্ষা করে।
No comments:
Post a Comment