বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, নির্দেশাবলী জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পথে না চললে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি অর্থেরও ক্ষতি হয় এবং মান-সম্মানও কম হয়।
একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য সরাসরি বেডরুমের সাথে সম্পর্কিত। আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থে ঘুমের কিছু নিয়ম রয়েছে। এগুলো মেনে চললে শরীরে যেমন কোনো রোগবালাই হয় না, তেমনি পরিবারে সুখ শান্তি বজায় থাকে। মনুস্মৃতিতে লেখা আছে যে পরিত্যক্ত বাড়িতে একা ঘুমানো উচিৎ নয়। যেখানে সম্পূর্ণ অন্ধকার থাকে সেখানে ঘুমানোও এড়িয়ে চলা উচিৎ। এছাড়াও মন্দির এবং শ্মশানে কখনই ঘুমানো উচিৎ নয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা জরুরি। কিছু মানুষের ঘুমের আগে পা ধোয়ার অভ্যাস আছে। এটা ভালো, কিন্তু পা ভিজিয়ে ঘুমানোকে ধর্মীয় গ্রন্থে শুভ বলে মনে করা হয় না। কথিত আছে শুকনো পা রাখলে ঘরে লক্ষ্মী আসে।
খাট ভেঙ্গে গেলে তার উপর ঘুমাবেন না। খাওয়ার পরপরই বিছানায় যাবেন না। এঁটো মুখে ঘুমানো অশুভ। আপনি যে দিকে ঘুমান সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ব দিকে মাথা রেখে ঘুমালে শিক্ষা হয়, পশ্চিম দিকে মাথা রেখে ঘুমালে অনেক দুশ্চিন্তা হয়, উত্তর দিকে মাথা রেখে ঘুমালে ক্ষতি ও মৃত্যু হয় এবং দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে ঘুমালে ধন-সম্পদ ও বয়স হয়।
অনেকেরই দিনের বেলা ঘুমানোর অভ্যাস আছে। অবিলম্বে ছেড়ে দিন। যে রোগী দিনের বেলা এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় ঘুমায় সে আরও দরিদ্র হয়ে যায়।
বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দক্ষিণ দিকে পা রেখে ঘুমানো উচিৎ নয়। যম এবং অশুভ দেবতারা এই দিকে বাস করেন। এর বৈজ্ঞানিক কারণও হল মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া।
ঘুমানোর সময় হার্টে হাত দিয়ে ঘুমানো উচিৎ নয়। পায়ে পা রেখেও ঘুমানো উচিৎ নয়। কপালে তিলক লাগালে ঘুমানোর আগে পরিষ্কার করে নিন। তিলক লাগিয়ে ঘুমানো ভালো নয়।
No comments:
Post a Comment