আপনি কি জানেন যে কোনও রোগের প্রথম লক্ষণ ঠোঁটেই দেখা যায়। এই কারণেই অনেক বিজ্ঞানীর মতে, ঠোঁট এই রোগের বৈশিষ্ট্য। পরিবর্তিত রঙ শরীরে ঘটছে ব্যাঘাত সম্পর্কে তথ্য দেয়।
গাঢ় লাল রং: শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণের কারণে এটি ঘটে। অনেক সময় ঠোঁটের লাল রং খুব কালচে হয়ে যায়, যার কারণে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন-সি-এর অভাব দেখা দেয়।
হলুদ রং: রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ঠোঁটের রং হলুদ হয়ে যায়। লিভার সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে বা ঠিকমতো কাজ না করলেও এমনটা হয়। কিছু ভাইরাল ইনফেকশনের কারণেও ঠোঁটের রং হলুদ হয়ে যায়।
লাল ঠোঁট : ঠোঁটের লাল হওয়া শরীরের তাপমাত্রা বা খাবারে অ্যালার্জির লক্ষণ। যখন যকৃতে ব্যাঘাত ঘটে, তখন তাপমাত্রা বেড়ে যায়, যার প্রভাব ঠোঁটে দৃশ্যমান হয়। ঠিকমতো শ্বাস না নেওয়ার কারণেও এমনটা হয়।
ঠোঁট ঝকঝকে হওয়া: শরীরে রক্তের অভাবে এমনটা হয়। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রক্ত সরবরাহ করতে পারে। এ ছাড়া হঠাৎ খিঁচুনি, হৃদস্পন্দন ধীর হয়ে যাওয়া বা হার্ট ফেইলিউরের কারণে ঠোঁট সাদা হয়ে যায়। হঠাৎ ঠোঁট সাদা হয়ে যাওয়াও জরুরি অবস্থা।
গোলাপি ঠোঁট :এটি একটি সুস্থ শরীরের লক্ষণ। গোলাপি ঠোঁট মানে শরীরকে ফিট রাখতে আপনি যে ডায়েট বা ব্যায়ামই করছেন না কেন, তা আপনার শরীরের জন্য উপযোগী। এই রুটিন বজায় রাখুন।
নীল ঠোঁট: রক্তে অক্সিজেনের অভাব এবং অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইডের কারণে ফুসফুস বা হার্টের কাজে ব্যাঘাত ঘটলে ঠোঁট নীল হয়ে যায়। হঠাৎ করে নীল ঠোঁট হয়ে যাওয়াটাও জরুরি অবস্থা। জন্মের পরপরই যদি শিশুর কান্না না আসে, তবে এটি ফুসফুসের অনুপযুক্ত কার্যকারিতার কারণে হয়। যার কারণে তার ঠোঁট নীল হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment