প্রায়শই লোকেদের মনে হয় যে যদি তাদের রক্ত ঘন হয় তবে তারা অন্যান্য মানুষের চেয়ে স্বাস্থ্যকর। কিন্তু তা না। যদি আপনার রক্ত খুব ঘন হয়, তাহলে আপনি অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
রক্ত ঘন হওয়ার ফলে আপনার শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এটি আপনার ব্রেন স্ট্রোক এবং হার্টের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে হলে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। রক্ত ঘন হওয়ার কারণে আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারবে না, যা অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
দারুচিনি: দারুচিনিতে কোমারিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যার রক্ত পাতলা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর সেবনে সারা শরীরে রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটে। উচ্চ মাত্রায় কোমারিন ব্যবহার করলে লিভারকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এর ক্ষতি হতে পারে।
জল: দিনে ১-২লিটার জল পান করা উচিৎ । বিশুদ্ধ জলে পান করুন। আমাদের শরীরের এক-তৃতীয়াংশ জল দিয়ে গঠিত। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে এবং শরীরকে ডিটক্স করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিৎ।
লাল লঙ্কা : লাল লঙ্কায় প্রচুর পরিমাণে স্যালিসিলেট থাকে এবং এটি একটি শক্তিশালী রক্ত পাতলাকারী এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। শুধু তাই নয়, যদি এটি সেবন করা হয়, তাহলে রক্তচাপ হ্রাস এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মতো অন্যান্য সুবিধাও পাবেন।
আঙুর: আঙুরে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এতে পাওয়া জমাট বাঁধা বৈশিষ্ট্য আমাদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। রেসভেরাট্রল আঙ্গুরের উপরের পৃষ্ঠে পাওয়া যায়, যা রক্তে প্লেটলেটগুলিকে একত্রে জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এবং রক্তকে পাতলা করে।
রসুন: রসুনের অ্যান্টিথ্রোম্বোটিক কার্যকলাপ রয়েছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, অর্থাৎ অ্যান্টিথ্রোম্বোটিক এজেন্ট রক্তের জমাট বাঁধা কমাতে সাহায্য করতে পারে। রসুন শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে এবং এইভাবে কোষের ক্ষতি রোধ করে। এটি শরীরে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ: হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে। এটি রক্তকে পাতলা করতে কোলেস্টেরল এবং প্লেক অপসারণ করতে সাহায্য করে এবং এইভাবে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।
পেঁয়াজ: পেঁয়াজ কাঁচা বা সিদ্ধ করে খেলে রক্ত জমাট বাঁধে। চিকিৎসকদের মতে, যাদের রক্তে জমাট বাঁধার সমস্যা রয়েছে, তাদের খাবারে নিয়মিত পেঁয়াজ ব্যবহার করা উচিত। চর্বিযুক্ত খাবারের সাথে পেঁয়াজ খাওয়া রক্তে জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
মাছের তেল: মাছের তেল ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ইপিএ এবং ডিএইচএ মাছের তেলে পাওয়া যায়। যা রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে, আপনার খাদ্যতালিকায় মাছের তেল অন্তর্ভুক্ত করুন।
No comments:
Post a Comment