সৌমিতা চক্রবর্তী: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো যতটা প্রসিদ্ধ, ঠিক ততটাই প্রসিদ্ধ বারাসতের কালী পুজো। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পুজো হয় এখানে। তার মধ্যেই ১২ থেকে ১৫ টি হয় থিম পুজো। আর এই থিম পুজোতে এবার নজর কেড়েছে বারাসতের সন্ধানী ক্লাব। তাদের থিম প্রতীক্ষা। এখানে দেবীর অধিষ্ঠান একটি বড় ঘড়ির ভেতরে। দেবীর রূপও এখানে অনন্য। চারটি নয়, এখানে দেবীর ১২ টি হাত এবং দেবীর হাত অস্ত্র শূন্য।
করোনাকালে বিগত দুবছরে বদলে গিয়েছে আমাদের চেনা পরিসর। জনজীবন একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে যায়। মহামারীর শুরুর দিকে গোটা দেশে লকডাউন জারি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাত ১২ টা ১০ নাগাদ। আর সেই থেকেই দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে সবটাই থমকে যায়। এই চিত্রই সন্ধানী ক্লাব তুলে ধরেছে তাদের থিমে।
ক্লাব উদ্যোক্তারা জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই সমস্ত আয়োজন করা হয়েছে। মানা হচ্ছে কোভিড প্রোটোকল। মণ্ডপের ভেতর যেন খুব বেশি ভিড় না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা যেমন রয়েছে, তেমনই দর্শনার্থী যারা মাস্ক ছাড়া আসছেন, তাদের দেওয়া হচ্ছে মাস্ক।
আর সন্ধানী ক্লাবের এই থিম পুজো দেখতে যেন উপচে পড়ছে ভিড়। পুজো শুরুর দিন সকাল থেকেই দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন পুজো দেখতে। তবে রাতের বেলা বিপুল জনসমাগম হয় মণ্ডপ চত্বরে। আর দ্বিতীয় দিনেও সন্ধানী ক্লাবে উপচে পড়ছে ভিড়। একদিকে যেমন প্রতিমা ও মণ্ডপের রূপ ক্যামেরা বন্দী করে রাখতে দেখা যাচ্ছে, অপরদিকে দেখা যাচ্ছে সেলফি তুলতে ব্যস্ত কিশোর -কিশোরী থেকে শুরু করে যুবক-যুবতীরাও। সবমিলিয়ে জমজমাট কালী পুজো।
উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের কালী পুজো ঘিরে উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে। করোনা কলেও সেই উল্লাসে ভাটা পড়েনি। কালী পুজো একদিনের জন্য হলেও এখানে প্রতিমা দর্শন চলে পাঁচ দিন ধরে।
No comments:
Post a Comment