বাংলার উপনির্বাচনে বিজেপি চার আসনেই তৃণমূলের কাছে লজ্জাজনক হারের মুখোমুখি হয়েছে। বিজেপি এই উপনির্বাচনে ব্যর্থতার বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বুধবার সকালে ইকোপার্কে এসে বলেন “যেভাবে নির্বাচন হচ্ছে, তাতে কাউকে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না, কাউকে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না, কোনও হোটেল বা গাড়ি দেওয়া হচ্ছে না।"
তিনি আরও বলেন, " বিরোধী দল আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। এক সময় শুধু একজন প্রার্থী থাকবে এবং সেই প্রার্থীকে সবাইকে ভোট দিতে হবে। একটি দল গণতন্ত্রে পরিণত হবে এবং অন্য কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। টিএমসি সব ভোট পাবে।"
সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “অবশ্যই পারব। কি অবস্থা হবে, কতটা হবে তা এখন জানা নেই। ভারতীয় জনতা পার্টি পূর্ণ শক্তি নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ গত পৌরসভা নির্বাচনে বিধাননগরে সকাল ৮ টায় ভোট শেষ হয় এবং ভোট লুট হয়। সাংবাদিক পাঠানো হয়েছে, ক্যামেরা ভাঙা হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে কলকাতা কর্পোরেশনেও। তারকেশ্বর বা আরামবাগে কেন্দ্রে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতির বলেন “পরবর্তীতে পঞ্চায়েতেও তা হয়েছে। সেদিকেই চলছে বাংলার রাজনীতি। এর মধ্যে আমাদের লড়াই করতে হবে।”
দিলীপ ঘোষ বলেন “নির্বাচনের সময় ভিন্ন কূটনীতি কাজ করে, নির্বাচনের পর স্বাভাবিক রাজনীতি। আমরা ২০২১ সালের জয়ের পর তিনটি উপনির্বাচনে হেরেছি। কিন্তু আমরা সাধারণ নির্বাচনে জিতেছি। কর্মীরা দলের আদর্শে কাজ করে। উপনির্বাচন নীতিগত বিষয় নয়, ব্যতিক্রম। এটা সব জায়গায় হয়েছে। আমাদের নির্বাচন করতে দেওয়া হচ্ছে না, প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের প্রার্থীদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।”
No comments:
Post a Comment