জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। এটাই চিরন্তন সত্য। এই ছোট সত্য তাই বলে যায়। দীপাবলির আগে কাজ করে মায়ের হাতে কিছু অর্থ তুলে দিতে চেয়েছিল বছর ২৩-এর হারাধন মন্ডল। তার সেই স্বপ্ন, স্বপ্নই রয়ে গেল। বর্তমানে সে মায়ের কাছে নয়, তার নিথর দেহ পরে রয়েছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের মর্গে। এমনই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হল সূর্যসেন কলোনী পাইপ লাইন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, মৃত যুবক স্থানীয় এনজেপি গেট বাজারের বাসিন্দা। ছোট্ট একটি চায়ের দোকান রয়েছে তাদের। তার মা'ই দোকানটি সামলান। বাবা কয়েক বছর আগেই মারা গেছে। দুই ছেলেকে নিয়েই মায়ের ছোট্ট সংসার।
দরিদ্র পরিবার তাদের। সেই জন্যই হারাধন ভেবেছিল, কালী পুজার আগে কিছু অর্থ উপার্জন করে মায়ের হাতে তুলে দেবে। যাতে সপরিবারে পুজোয় দুমুঠো ভালো করে খেতে পারে। মাকে যাতে একটু আনন্দ দিতে পারে। সেই লক্ষ্যেই দীপাবলির লাইট লাগাতে পাইপ লাইনের ধ্রুবলাল ব্যানার্জির বাড়িতে গিয়েছিল দুই ভাই হারাধন মন্ডল ও ছোট ভাই নীলরতন মন্ডল। আর সেটাই হারাধনের কাল হল।
লাইট লাগাতে গিয়ে সেই বাড়ির গা ঘেষে যাওয়া হাইটেনশন তারে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে গুরুতর জখম হয় হারাধন। তড়িঘড়ি তাকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে শহরের সেই ভয়ংকর ট্রাফিক জ্যামে পরে সে। হাসপাতালে পৌছতে দেরি হওয়ায় রাস্তায় মৃত্যু হয় তার। পরিবারের দাবী, সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে সে হয়তো বেঁচে যেত।
No comments:
Post a Comment