শুষ্ক, ফাটা এবং শুষ্ক ত্বক অনেক ব্যথা দেয়। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী রেসিপি হল বেশি পরিমাণে জল পান করা, তবে শীতকালে এটি উপযুক্ত নয়। এমন পরিস্থিতিতে ডায়েটে আরও কিছু জিনিস অন্তর্ভুক্ত করে আপনি সহজেই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাহলে আসুন জেনে নিই ত্বককে হাইড্রেটেড এবং ময়েশ্চারাইজড রাখে এমন জিনিসগুলো সম্পর্কে
সবুজ শাক - সব্জি : সবুজ শাক-সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, কে, বি, এবং সি এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফাইবার এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। এগুলি ছাড়াও তাদের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। পুষ্টি উপাদানের উপস্থিতি শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং একই সঙ্গে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।
ডিম: ডিমে ভিটামিন এ, ডি, ই, ফোলেট, প্রোটিন, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং সোডিয়াম রয়েছে। হ্যাঁ, তবে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে ডিমের হলুদ অংশ খান তবে বেশি খাবেন না তা না হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।
জলপাই তেল: জলপাই তেল ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ পোড়া দাগ দূর করে। এটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা দাগ থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে কাজ করে। জলপাই তেল সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল জিনিস হল যে এটি খুব আঠালো নয় বা তীব্র গন্ধও নেই।
শণ বীজ: শণের বীজ একটি নয়, অনেক রোগের নিরাময়। মাত্র এক চামচ শণের বীজ খেলে আপনি সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য, স্থূলতা, ক্যান্সার এবং ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারেন। শণের বীজ শরীরকে ডিটক্সিফাই করার জন্যও দুর্দান্ত। শণের বীজ রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যা শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বক ও চুলের জন্যও খুব ভালো। অ্যালোভেরায় অনেক উপাদান রয়েছে যেমন লিপিড জলের ভিটামিন A, C, E, B12, জিঙ্ক, কপার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিডের মতো খনিজ। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি এটি অকালে বার্ধক্যের প্রভাবও কমায়।
No comments:
Post a Comment