শীত এলেই আমরা ঘরে গুড়ের তৈরি জিনিসপত্র তৈরি করতে থাকি, যার মধ্যে গুড়, তিলের লাড্ডু, তিলের খোসায় তিল মিশিয়ে অনেকেই এই মৌসুমে তিলকুট তৈরি করে এবং প্রচুর খায়। এটি শুধু স্বাদেই দুর্দান্ত নয়, এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও।
এর কারণ হল তিলের প্রভাব গরম, যার কারণে এটি আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখার পাশাপাশি শীতের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করবে। এর কারণ তিলের বীজে পাওয়া সেসামিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি। জেনে নিন ঠাণ্ডা মৌসুমে তিলের তৈরি জিনিস খাওয়ার কী কী স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
হাড় মজবুত হবে: তিলের গরমের কারণে ঠাণ্ডা ছাড়া অন্য কোনো ঋতুতে তা খাওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে ঠাণ্ডা ঋতুতে অবশ্যই তিল খেতে হবে। এতে হাড় মজবুত হওয়ার পাশাপাশি জয়েন্টের ব্যথার সমস্যাও কমবে। জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো অনেক খনিজ তিলে পাওয়া যায়। এই সব হাড় মজবুত করতে কাজ করে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: তিলের বীজে সেসামিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এই তিল ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। এছাড়াও তিল ফুসফুসের ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, লিউকেমিয়া এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ হবে: শীতকালে তিল খেলে মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ হয়। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, তিলে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, খনিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং কপার ছাড়াও অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এগুলো সেবন করলে মন প্রখর হয়। এছাড়াও বয়স বৃদ্ধির প্রভাব স্মৃতিশক্তিতে দ্রুত প্রভাব ফেলে না।
No comments:
Post a Comment