মেকআপের সময় প্রত্যেককেই বেশ কিছু দিকে নজর দিতে হয়। মূলত কনের সাজের ক্ষেত্রে তো বটেই। কনে সে দিন সকলের মধ্যমণি।
প্রথমেই হবু কনেরা যে ভুলটি করে বসেন সেটি হল ত্বকের চিকিৎসা। বিয়ের আগে ত্বকের চিকিৎসা নৈবঃ নৈবঃ চঃ। এতে কখনও কখনও ফল উল্টো হতে পারে। চিকিৎসা চলাকালীন যদি ত্বকে র্যাশ বা ব্রণর মতো সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে বিয়ের দিন কনের সাজটাই মাটি।
যদি একান্তই ত্বকের চিকিৎসা করাতে হয়, তবে তা অন্তত ৫-৬ মাস আগে করান।বিয়ের দিন ঠিক কেমন সাজ চান, তার একটা ছবি রেখে দিন হাতের কাছে। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আগে ভাগেই কথা বলে নিতে পারেন রূপটান শিল্পীর সঙ্গে। নেটমাধ্যমে কোনও বিশেষ সাজ পছন্দ হলে তা মোবাইলের সংগ্রহে রেখে দিতে পারেন।
চুলের সাজসজ্জাও কিন্তু মেকআপেরই একটি অংশ। অনেকেই মুখের মেকআপ ঠিকঠাক হলে বেমালুম ভুলে যান চুলের সাজসজ্জার কথা, তাই যেমন মেকআপ আপনি করবেন বলে ভেবেছেন, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই চুল বাঁধুন।সব থেকে ভাল হয় যদি আগে থেকে একবার চুল বেঁধে দেখে নেন ঠিক কেমন লাগছে আপনাকে।
মেকআপ আর্টিস্টের সঙ্গে কথা বলে আগে একটি দিন ঠিক করে নিন। বিয়ের দিন আপনার সাজে অল্প কিছু পরিবর্তন করতেই পারেন। তবে বড় সড় কিছু পরিবর্তন না করাটাই ভাল। কারণ সেই পরিবর্তন ঠিক কতটা ভাল লাগবে তা আপনি নিজেও জানেন না।
বিয়ের দিন চড়া মেকআপ না করাটাই শ্রেয়। ফাউন্ডেশন ও কনসিলার ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন। এমন মেকআপ করবেন না যাতে মুখ বেশি সাদা দেখায়। সব সময়ে আপনার চেহারার কাছাকাছি সাজই বেছে নিন।
একই সঙ্গে আইশ্যাডো বা ব্লাশ ব্যবহারে শিমারের পরিমাণে খেয়াল রাখুন। বেশি মাত্রায় শিমার লাগালে দেখতে কিন্তু ভাল লাগে না।মেকআপ শুরুর আগে অবশ্যই ব্লাউজ পরে নিন। এতে আপনার চুল, মেক আপ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
সব শেষে মনে রাখবেন বিয়ের মেকআপ কিন্তু বেশ সময় সাপেক্ষ বিষয়। তাই কখনই তাড়াহুড়ো করবেন না। অন্তত ৩ ঘণ্টা সময় হাতে নিয়ে মেকআপ করতে বসুন। পাশাপাশি রূপটান শিল্পীকেও তাড়াহুড়ো করতে বারণ করুন। এতে ভুল হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা থাকে।
No comments:
Post a Comment