ঘি ছাড়া আমাদের খাবারগুলি সম্পূর্ণ ফ্যাকাশে, কারণ যখনই আমরা উৎসব বা কোনও অনুষ্ঠানে মিষ্টি বা খাবার তৈরি করি, ঘি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটি সীমিত পরিমাণ পর্যন্ত সবকিছু ব্যবহার করতে পারি। আসুন জেনে নিই প্রতিদিন কতটা ঘি ব্যবহার করা যায়।
আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘি ব্যবহার করি, কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে ঘি ছাড়া খাবারে সেই স্বাদ নেই, যা ঘি যোগ করার পরে একটি ভিন্ন পরীক্ষা আসে। প্রতিটি ঘরেই সহজেই ঘি পাওয়া যায়। মিষ্টির মতো মিষ্টি যাই হোক না কেন ঘি ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে ঘরে তৈরি সাধারণ খাবার যেমন মসুর ডাল, ভাত, রুটি ইত্যাদিতেও ঘি ব্যবহার করা হয়।
শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য ঘি ভালো। যেমন ঘি শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এটি বয়স্কদের জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করে, কারণ এটি হাড়কে মজবুত রাখে এবং শক্তি জোগায় যাতে তাদের হাঁটতে সমস্যা না হয়। একই সাথে এটি শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ করার পদ্ধতিতেও উন্নতি আনে, তবে ঘি খুবই উপকারী কিন্তু এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে।
এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করলে পেটে ব্যথা হতে পারে, স্থূলতাও বাড়ে এবং ধমনীতেও চর্বি জমা হতে পারে। রুজেতা দিওয়েকর যিনি একজন সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ তিনি তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে কীভাবে সঠিক উপায়ে ঘি ব্যবহার করবেন তা ব্যাখ্যা করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন:খাবারে রুচি বাড়াতে ঘি ব্যবহার করা হয়। ঘি ছাড়াও আমরা মাখনও ব্যবহার করি। ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও মাখন ও ঘি ব্যবহার বেড়েছে। রুজেতা বলেন, এটা নির্ভর করে খাবারের ওপর কতটা ঘি ব্যবহার করতে হবে।
যেমন বাজরার রুটি থাকলে তাতে একটু বেশি ঘি ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল ও ভাত থাকলে খুব বেশি ঘি ব্যবহার করবেন না। তিনি বলেন, যতটুকু খাবার প্রয়োজন তত বেশি ব্যবহার করুন, কারণ বেশি ঘি যোগ করলে খাবারের স্বাদ বদলে যায় এবং রোগও হতে পারে।
আপনার বাচ্চাদের খাবারে ঘি ব্যবহার করা উপকারী হতে পারে। শিশুদের খাবারে দুই চামচ ঘি ব্যবহার করলে তাদের বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি পাবে।
পুষ্টির মান:আয়ুর্বেদে ঘি খাওয়া ছাড়াও রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। ঘি ভিটামিন এ, ই এবং ডি সমৃদ্ধ। এছাড়াও এতে ওমেগা-৩, লিনোলিক অ্যাসিড এবং বিউটরিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
শুধু ঘরে তৈরি ঘি খান:যে কোন গরু বা মহিষের দুধের ঘি ব্যবহার করতে পারেন। গরুর দুধের ঘি সাধারণত শিশুদের জন্য বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। শুধুমাত্র ঘরে তৈরি ঘি খাওয়ার চেষ্টা করুন, কারণ বাজারের ঘি সবসময় খাঁটি এবং রাসায়নিকমুক্ত হয় না। ত্বকে ঘি লাগালে ত্বক নরম হয়।
No comments:
Post a Comment