দীপাবলির পরে দেবউত্থান একাদশী উদযাপিত হয়। এই একাদশীর একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এর পরে, ১৪ নভেম্বর,২০২১এ, দেবউত্থান একাদশীকে দেবোত্তন একাদশী, দেব প্রবোধিনী একাদশী, দেব উথানি গয়রাস নামেও পরিচিত। এই দিন থেকে হিন্দু ধর্মে শুভ কাজ শুরু হয়। ভগবানকে সন্তুষ্ট করার জন্য এই দিনে উপবাসও রাখা হয়।
এই দিনে উপবাস রাখলে সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। এই দিনে জল বা শুধুমাত্র জলের উপর উপবাস রাখা হয়। নির্জল উপবাস না রাখলে এই দিনে ভাত, পেঁয়াজ, রসুন, মাংস, মদ, বাসি খাবার ইত্যাদি সেবন করবেন না। আসুন জেনে নেই এই উপবাসের উপকারিতা ।
দেবউত্থান ব্রতের উপকারিতা
১. পাপ ধ্বংস হয়
কথিত আছে যে এই উপবাস পালন করলে জীবনের সমস্ত অশুভ আচার বিনষ্ট হয় এবং মোক্ষ লাভ হয়।
২. তুলসী পূজা
এই শুভ দিনে শালিগ্রামের সঙ্গে তুলসী মায়ের বিয়ে হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে এই দিনে তুলসী পূজার গুরুত্ব রয়েছে। কথিত আছে যে এই দিনে আড়ম্বর সহকারে তুলসী পূজা করলে সমস্ত দোষ দূর হয়। অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায় তুলসীর ডাল।শালিগ্রাম ও তুলসীর পূজা পিতৃদোষ দূর করে।
৩. বিষ্ণু পূজা
এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর পূজারও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে "ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ" মন্ত্রটি জপ করলেও উপকার পাওয়া যায়।
৪.চাঁদের ত্রুটি
কুণ্ডলীতে দুর্বল চন্দ্র থাকলে নির্জল একাদশীতে জল ও ফলমূল খেয়ে উপবাস করতে হবে। যদি কোন ব্যক্তি সমস্ত একাদশীতে উপবাস করে, তবে তার চন্দ্র সংশোধনের পর তার মানসিক অবস্থারও উন্নতি হয়।
৫.গল্প পড়া
এই দিনে দেবুথানী একাদশীর পূজার পাশাপাশি পৌরাণিক কাহিনী শোনা বা পাঠ করা উচিৎ। কথিত আছে শুধু গল্প শুনলে পাপ নাশ হয় এবং পুণ্য লাভ হয়।
৬. অশ্বমেধ ও রাজসূয় যজ্ঞের ফল
কথিত আছে দেবোত্থান একাদশীর উপবাস করলে হাজার অশ্বমেধ ও একশত রাজসূয় যজ্ঞের ফল পাওয়া যায়।
৭.পিতৃদোষ থেকে মুক্তি
পিতৃদোষে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই দিনে নিয়ম মেনে উপবাস করা উচিৎ। কথিত আছে যে এই দিনে পুজো করলে ক্রুদ্ধ পূর্বপুরুষরা খুশি হন এবং আপনি দুঃখ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৮.ভাগ্য জেগে ওঠে
দেবুথানী বা প্রবোধিনী একাদশীর উপবাস করলে ভাগ্য জাগ্রত হয়।
৯.সম্পদ এবং সমৃদ্ধি
পুরাণ অনুসারে, যে ব্যক্তি একাদশী পালন করেন তার জীবনে কোনো প্রকার ঝামেলা পোহাতে হয় না এবং তার জীবনে ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
No comments:
Post a Comment