হিংসার হাত থেকে রেহাই পেল না উৎসবের রাতও৷ ভাইফোঁটার রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপির একজন সক্রিয় কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর বিধানসভার মহাম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে রাত থেকেই এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ৷
মৃত বিজেপি কর্মীর নাম শম্ভু মাইতি (৩৭)। তিনি ভগবানপুর-১ ব্লকের মহাম্মদপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শক্তি কেন্দ্রের মুখ ছিলেন৷ অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে শাসকদল৷ যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ উড়িয়ে সাফ জানানো হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই৷
নিহতের পরিজনেরা জানান, শনিবার রাতে শম্ভুকে বাড়ি থেকে জোর তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা৷ আতঙ্কিত পরিজনেরা পুলিশকে জানান ঘটনাটি৷ এরপরই তদন্তে নেমে গভীর রাতে গ্রাম লাগোয়া নদীর পাড় থেকে শম্ভুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ৷ ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ মাঝ পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বছর ৩৭ এর নেতা৷ খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালের পৌঁছায় বিজেপির একাধিক নেতা৷
এহেন ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা৷ বিজেপির স্থানীয় নেতা পুলককান্তি গুড়িয়া অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘‘ভাইফোঁটার দিনটাকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলেরা ছাড়ল না৷ এই দিনেও ওরা মায়ের কোল খালি করে দিল৷ আমাদের সক্রিয় কর্মীকে রাতের বেলায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে মারধর করে খুন করল।’’ যদিও অভিযোগ উড়িয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃনমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও কর্মী যুক্ত নয়৷’’
ভগবানপুর থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলেন, “রাতেই খবর পেয়ে নদীর পাড় থেকে রক্তাক্ত জখম ওই যুবককে উদ্ধার করে ভগবানপুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তমলুক হাসপাতালের মৃত্যু হয়। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷’’
No comments:
Post a Comment