চাহিদা মেটাতে অক্ষম, রাগে স্বামী চোখে ফেভিক্যুইক ঢেলে দিলেন স্ত্রী - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 11 October 2021

চাহিদা মেটাতে অক্ষম, রাগে স্বামী চোখে ফেভিক্যুইক ঢেলে দিলেন স্ত্রী


প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড় -বিবাদ হয় না এমন ঘটনা খুব কমই আছে। তর্ক করা, রাগ করা, এই সব কিছু স্বামী -স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে চলতেই থাকে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার কারিয়া গ্রামে, এক স্ত্রী তার স্বামীর উপর রাগ করে এবং স্বামীকে শিক্ষা দিতে এমন এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন, যা শুনলে আপনি ভিমড়ি খাবেন। 


পেশায় ছুতোর সন্তোষ বিশ্বকর্মা, তার স্ত্রী বিজয়া লক্ষ্মীর সাথে কিছু বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল।  স্বামী-স্ত্রী তর্কের পর রাতে সন্তোষ ঘুমিয়ে পড়েন। এর পরে, তার স্ত্রী বিজয়া আঠা দিয়ে তার চোখ আটকে দেয় এবং নিজে বাড়ি ছেড়ে কোথাও চলে যায়।


এদিকে স্বামী তো চোখ না খুলতে পেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। কিন্তু তার চোখ না খোলায় গ্রামবাসীরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সেখানে তিনি জানতে পারলেন যে ফেভিক্যুইক তার চোখে লাগানো হয়েছে। স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর পুলিশ তদন্ত করছে।


আসলে সন্তোষ পেশায় একজন ছুতার। তিনি প্রায়ই টাকা নিয়ে বিজয়া লক্ষ্মীর সাথে ঝগড়া করতেন। স্ত্রীর অভিযোগ যে, তিনি তার চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। এমনই এক রাতে ঝগড়ার ঘটনা ঘটার  পর সন্তোষ ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় একটার দিকে স্ত্রী সুযোগ দেখে স্বামীর কাছে ফেভিক্যুইক নিয়ে যায় এবং দু' ফোঁটা তার দু'চোখের চোখের পাতায় ফেলে দেয়। এর পরে, আস্তে আস্তে বাড়ির দরজা বন্ধ করে ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর স্বামী জেগে ওঠেন, কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও তার চোখ খুলতে ব্যর্থ হন। 


চোখ খুলতে না পেরে তখন সন্তোষ তার স্ত্রীকে ফোন করেন। কিন্তু তিনি কোনও উত্তর পাননি। অনেকক্ষণ ধরে আওয়াজ দেওয়ার পর কোনরকমে সে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে শব্দ করতে শুরু করে। তার আওয়াজে ঘুম থেকে জেগে উঠে লোকেরা তাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি তার দুর্দশার কথা বর্ণনা করেন। এরপর লোকেরা তাকে রেওয়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে জানা যায়, তার চোখ ফেভিক্যুইক দিয়ে আটকানো।


স্বামী সন্তোষ জানান যে, তার কাছ থেকে টাকা না পেয়েই স্ত্রী তার চোখ আঠা দিয়ে আটকে দেয়। আর স্ত্রীর এই কীর্তির কথা শুনে উপস্থিত সকলেই বাকরুদ্ধ হয়ে যান। বর্তমানে নির্যাতিতা স্বামী মেডিক্যাল  কলেজে চিকিৎসাধীন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad