প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: ভবানীপুরে ভোটের সংখ্যা কঠিন। তৃণমূল বরাবরই বলে আসছে, বেশি বেশি ভোট দিন। তবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে রেকর্ড ব্যবধানে জয়লাভ সম্ভব। বিজেপি হিসাব করছে যে ভোট বাড়লে ভবানীপুর উপনির্বাচনে তাদের মার্জিন কমে যাবে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনের দিন তৃণমূল নেতারা ট্যুইট করে ভবানীপুরের ভোটারদের বুথে যাওয়ার অনুরোধ জানান। বিজেপি তার বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগও দায়ের করেছে। এদিন বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ভবানীপুরে ৫৩.৩২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ভবানীপুরের ভোট সন্ধ্যা সাড়ে ছয়'টা পর্যন্ত চলেছিল, তাই চূড়ান্তভাবে সেই সংখ্যা জানার আগ্রহ সকলের মধ্যে রয়েছে। অবশেষে আজ শুক্রবার সকালে গণনা থেকে জানা গেল ভবানীপুরে চূড়ান্ত ভোট পড়েছে ৫৬.৩৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার অনুমান করা হয়েছিল যে ভোটার ৮০ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভবানীপুরে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। সময় যত এগোচ্ছিল, তেমন ভোটারও বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, সকালে ভবানীপুরে ভোটারের সংখ্যা কম ঠিক, কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট বাড়বে।
কিছু পর্যবেক্ষকের মতে, ভবানীপুরে তৃণমূলের টার্গেট বেশি, কারণ তৃণমূল মনে করে যে বেশি ভোট মানে মমতা রেকর্ড ব্যবধানে জয়। কিন্তু বিজেপি উল্টো বলছে, তাদের চোখে ভবানীপুরে বেশি ভোট মানে তৃণমূলের বিজয়ের কম ব্যবধান। এর সমর্থনে তথ্য দিয়েছে বিজেপি-
২০১১ সালের উপনির্বাচনে ভোটার ছিল মাত্র ৪৪.৬৩%।
তৃণমূলের বিজয়ের মার্জিন ৫৪,২১৩
২০২১ সালে ভোটার ৭১.৮৯% অর্থাৎ ভোটার বেড়েছে। বিজয়ী মার্জিন হল পদ্মের। অতএব ব্যবধান কমে ২৬,৬১৯ হয়েছে।
২০১১ এবং ২০২১ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে ভোটার বেশি ৮.৬৩ % ।
২০১৬ সালের বিজয়ী মার্জিন তিনবারের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ২৫,৩০১
কিছু পর্যবেক্ষকের মতে, এই পরিসংখ্যানকে মাথায় রেখে ভবানীপুরে বিজেপি বেশি ভোট পেতে চায়। যদি তাই হ,য় ব্যবধান সংকীর্ণ হতে পারে। আর যদি তৃণমূলের বিজয়ের ব্যবধান কমে যায় তবে বিজেপি এটাকে প্রচারে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
ভবানীপুরে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ৫৩.৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। সকাল থেকে ভবানীপুরে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। দিন যত এগিয়েছে, ততই ভোটদান কিছুটা বেড়েছে। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সামশেরগঞ্জে ৬.৮০ শতাংশ এবং জঙ্গিপুরে ৮.১২ শতাংশ ভোটদান কিছুটা বৃদ্ধি পায়। ভোটের চূড়ান্ত গণনা অবশেষে আজ শুক্রবার ঘোষণা করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment