প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের আগে, যশপাল এবং সঞ্জীব আর্যের কংগ্রেসে প্রস্থান উত্তরাখণ্ডে বিজেপির মধ্যে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বিজেপি-র সূত্র জানিয়েছে, রাজ্য নেতাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তলব করে তাদের ভুলত্রুটি ব্যাখ্যা করার জন্য। এই পরিস্থিতিকে সঠিক পথে আনার জন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
দলের এক ব্যক্তি বলেন “বৈঠকটি হয় উত্তরাখণ্ড বা দিল্লীতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে এটি (যশপাল এবং সঞ্জীব আর্যের প্রস্থান) নিয়েও আলোচনা হবে। কারণ এটি দলের পাশাপাশি সরকারের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
গত বছরের নভেম্বরে মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী হরক সিং রাওয়াতও কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়, যখন তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে "রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু এবং প্রতিপক্ষ নেই।" যশপাল আর্য বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার আগে নয়জন বিধায়ক ২০১৬ সালে বিজেপির জন্য কংগ্রেস ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তবে কংগ্রেস ইতিমধ্যেই সেই সব নেতা-কর্মীদের ‘ঘরবাপসি’ তদারক করার জন্য একটি প্যানেল গঠন করেছে। গত পাঁচ-ছয় বছরে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বা স্বেচ্ছায় দল ছেড়েছিল এমন নেতাদের পুনরায় দলে ফিরেয়ে আনাই এই প্যানেলের উদ্দেশ্য।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন যে উভয় দলই উওরাখন্ড বিধানসভার ৭০ আসনে বাজি ধরছে কারণ প্রতিটি আসনই গুরুত্বপূর্ণ। এরই মধ্যে কংগ্রেসের ভেতরে ভিন্নমতের আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। পার্টির মহিলা শাখা সরিতা আর্য বলেন সঞ্জীব আর্য যদি কংগ্রেসে এসেই নৈনিতাল থেকে টিকিট পান, তাহলে তিনি দল ছাড়ার কথা ভাবতে বাধ্য হবেন।
No comments:
Post a Comment