নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর: নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসে নন্দীগ্রামের চিল্লগ্রামের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি খুনে গ্রেপ্তার আরও ৯ জন। সব মিলে গ্রেপ্তার মোট ১১ জন। শনিবার সারাদিন দফায় দফায় মিছিল অবরোধ , সিবিআই এবং তৃণমূল সদস্যদের মধ্যে ছিল টানটান উত্তেজনা। অবশেষে সিবিআইয়ের জালে নন্দীগ্রামের বেশকয়েকজন তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতা।
সূত্রের খবর গ্রেপ্তার তালিকায় নাম রয়েছে শাসক দলের দাপুটে কয়েকজন নেতারও; শেখ সাহাউদ্দিন কেন্দামারি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী, শেখ বাইতুল ইসলাম নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী, শেখ হাবিবুল মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হলদিয়া সিবিআই দপ্তরে ডেকে পাঠান হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর কথায় অসঙ্গতি পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। এর কিছুক্ষণ পরেই হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয় তাদের।
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুর। ২রা মে ফলা ঘোষণার পরপর কয়েকদিন জেলার একাধিক জায়গায় চলে দুষ্কৃতী সন্ত্রাস। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।শিরোনামে আসে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কেন্দামারী, চিল্লগ্রাম, মহম্মদপুর,গোকুলনগর সহ একাধিক এলাকা। এই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে দেবব্রত মাইতি (৪৯) খুন হন।
৩রা মে ওই বিভিন্ন এলাকার সাথে সাথে চিল্লগ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালানো হয়। ঘরবাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি ব্যাপক মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি কে প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে ও পরে কলকাতা এসএসকেএমে পাঠানো হয়। ১৩ই মে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় নিথর দেহ নন্দীগ্রাম পৌঁছালে রেয়াপাড়াতে মাল্যদান করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তার পরিবারকে তিনি কথা দিয়েছিলেন ন্যায় দেবেন। এরপর মে মাসেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস খতিয়ে দেখতে নন্দীগ্রামের একাধিক এলাকার সাথে তার বাড়িতেও যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পরে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্ত ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। গত ৩১ শে আগস্ট থেকে লাগাতার নন্দীগ্রামে দেবব্রত খুনের তদন্ত করেন তারা।
No comments:
Post a Comment