নিজস্ব প্রতিবেদন: "বাংলাদেশের এত বড় ঘটনা ঘটল একটা শব্দ উনি বলেননি, ওনার এই নিরবতা বিশেষ ধর্মীয় মৌলবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া" - এভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বাংলাদেশে ইস্কন মন্দিরে ভাঙচুর ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দুষ্কৃতী হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সোমবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এদিন শিলিগুড়ির হাসমি চকে উক্ত ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কালো ব্যাচ পরে ধিক্কার মিছিল বার করা হয় তাদের পক্ষ থেকে। সেই প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ।
এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বিধায়ক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দুর্গা পুজো ও ইস্কনের ওপর যে হামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছি এবং প্রত্যেকেরই উচিৎ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো। আমরা সবসময় ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলি, সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের কথা বলি কিন্তু এই উদারতার সুযোগ নিয়ে বিশ্ব জুড়ে এক অংশের মানুষ ধর্মীয় ভাবে বারংবার আঘাত হানছে। আমাদের দুই প্রতিবেশী দেশে এই ঘটনা ঘটে চলেছে। যেখানে তারা সংখ্যা গরিষ্ঠ, সেখানে এই আঘাত বারবার হচ্ছে, এই দ্বিচারিতা চলতে পারে না।
বিধায়কের দাবী, বাংলাতেও একই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। রাজ্যের ছয়-সাতটি জেলার জনসংখ্যার জন ঘনত্বের যে ভারসাম্যের পরিবর্তন হয়েছে, তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে বলেও তিনি দাবী করেন। 'একপক্ষ উদারতা দেখাবে আর অপরপক্ষ সেই উদারতার সুযোগ নিয়ে তাদের উপাসনাকে আঘাত করবে, এটা হতে পারে না', যোগ করেন শঙ্কর ঘোষ।
এরপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, "ওনার কথা না বলাই ভালো। উনি হলেন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি মাথায় হিজাব পরে প্রথম ছবি দিয়েছিলেন, যা এর আগে কেউ করেনি।" 'সরকারি অনুদান দিয়ে পুজো হচ্ছে, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গা পূজা হতে পারবে তো!' প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক।
মুখ্যমন্ত্রীকে আরও চড়া ভাষায় আক্রমণ করে বিজেপি বিধায়ক বলেন, "বাংলাদেশের এত বড় ঘটনা ঘটল, একটা শব্দ উনি বলেননি। আমার অবাক লাগে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের ঘটনায় একটা শব্দ উচ্চারণ না করা! ওনার এই নিরবতা আসলে ধর্মীয় মৌলবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া বিশেষ ধর্মীয় মৌলবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে হচ্ছে। আর ওনার একমাত্র লক্ষ্য যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় আসা।"
প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে এদিন মহকুমা শাসকের মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে এক স্মারক লিপি প্রদান করা হয়, যাতে বলা হয়েছে, 'এই নির্মম ও নিন্দনীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করুক বাংলাদেশ সরকার।'
No comments:
Post a Comment