উত্তর দিনাজপুর: রবিবার রাতে বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব নেতা মিঠুন ঘোষ। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকার শাসক শিবিরকেই কাঠগড়ায় তোলেন। এদিকে যুব নেতা খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার জেলা জুড়ে বনধের ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেন তিনি।
এদিকে এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সন্তোষ ঘোষ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। রায়গঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, এই ঘটনার সাথে এখনও রাজনীতির কোনও যোগ মেলেনি। অভিযুক্ত দুইজনের সাথেই যোগাযোগ ছিল মিঠুনের। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে একটি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে মিঠুন, সন্তোষ ও সুকুমার ঘোষ। এরপর বাড়ি থেকে কিছু দূরে ওই দুইজনকে দাঁড় করিয়ে নিজে বাড়িতে ঢোকে মিঠুন৷ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র দেখানোর জন্য নিয়ে যায় সে। সেই সময়ই দুর্ঘটনাক্রমে গুলিবিদ্ধ হন মিঠুন ঘোষ। অপর অভিযুক্ত সুকুমারের খোঁজ চলছে।
তবে পুলিশের দাবী মানতে রাজি নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবী, এই ঘটনার সাথে যুক্ত রয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তিনি ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবী জানিয়েছেন এবং যুব নেতার খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার জেলা জুড়ে বনধের ডাকও দেন তিনি।
No comments:
Post a Comment