প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: ভবানীপুর উপনির্বাচনে ৫৭% ভোট পড়েছে । সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে চেতলায় ।
ভবানীপুরে বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনে ৫৭% ভোট পড়েছে। ২৬ শে এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ৬১.৬% । ভবানীপুর বিধানসভার কলকাতা পুরসভার তিন ওয়ার্ড যথাক্রমে ৭১, ৭৭ এবং ৮৩ এ এবার ৬০% এর বেশি ভোট পড়েছে।
ভোটের হার বেশি ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডে যা চৌরঙ্গী, রিপন স্ট্রিট-রায়ড স্ট্রিট বেল্ট, পার্ক স্ট্রিট, শেক্সপিয়ার সরণি এবং ময়দানকে কভার করে। ৬৫.২% সর্বোচ্চ ভোট ছিল ৮২ নং ওয়ার্ডের চেতলা জুড়ে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট ৬১.৪% ।
৭১ নং ওয়ার্ডে, যা রেকর্ড ভোট পড়েছে যার বেশিরভাগ ভবানীপুর এলাকা জুড়ে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট ছিল ৭৭ নং ওয়ার্ডে যা কেদারপুরকে কভার করে, এখানে ভোট পড়েছে প্রায় ৬০% । এছাড়াও ভবানিপুরের বাকি ওয়ার্ড গুলোতে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।
কমিশনের চূড়ান্ত তথ্য অনুযায়ী মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জে ৮০% , আর জঙ্গিপুরে ৭৭.৬% ভোট পড়েছে ।
এমনকি ২০১১ সালের উপনির্বাচনে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভবানীপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তখন তিনি সিপিএমের নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ৫৪,০০০ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। সেই সময়ে ভোট দানের হার ছিল ৪৪% ।
এমনকি ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও যখন সুব্রত বক্সী ৪৯,০০০ ভোটে জিতেছিলেন তখন ভোট দানের হার ছিল ৬৩.৮% আর ১,৩৫,০০০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে ভবানীপুর থেকে জেতার সুবিধার্থে পরে বক্সি পদত্যাগ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত ১৯৫২ সালে প্রথম বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভোটের হার ছিল মাত্র ৪৪% । ৪৮,৫০০ জন ভোটারের মধ্যে ২১,৩৫৩ জন ভোট দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের মীরা দত্ত গুপ্ত ভবানীপুরের প্রথম বিধায়ক ছিলেন যিনি ৭৮৭৯ ভোট পেয়েছিলেন। যাইহোক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রথম বিধানসভা ভোটে ভোট পড়েছিল প্রায় ৪২% ।
মাত্র ১.৭ কোটি ভোটারদের মধ্যে ৭৪.৪ লক্ষ মানুষ বাংলায় ভোট দিয়েছিলেন।
১৯৫৭ সালে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় যখন কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ভবানিপুর আসনে জয়লাভ করেছিলেন তখন তিনি ২৬,৯৭২ ভোটের মধ্যে ১৩,৬৯৯ ভোট পেয়েছিলেন, যদিও মোট ভোটার ছিল ৬৭,৬৬৬ জন সুতরাং ভোট দানের হার ৪০% এরও কম ছিল।
১৯৬২ সালে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় বাম দলগুলির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই আসনে ফের জয়লাভ করেছিলেন, যখন তিনি ৩৯,১২০ ভোটের মধ্যে ১৮,২৯৭ পেয়েছিলেন । আর ভোটদানের হার ৬৮.৩% ছিল।
No comments:
Post a Comment