প্রেসকার্ড নিউস ডেস্ক :- ২ রা অক্টোবর অর্থাৎ আজ সারা দেশে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৮৬৯ সালের ২রা অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেন, যাকে অহিংসার পুরোহিত হিসেবে সমগ্র বিশ্ব পূজো করে। আমাদের দেশের স্বাধীনতায় মহাত্মা গান্ধীর অতুলনীয় অবদানের জন্য আমরা প্রত্যেক ভারতবাসী গর্বিত।
মহাত্মা গান্ধী তাঁর সহজ জীবন এবং উচ্চ চিন্তার কারণে রাষ্ট্রপিতা হয়েছিলেন। মহাত্মা গান্ধীই বিশ্বকে সত্যের শক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। গান্ধীর সত্যাগ্রহের কারণে ব্রিটিশরা আমাদের দেশে ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। গান্ধীজি ছিলেন নিরামিষাশী এবং জীবনের এক পর্যায়ে তিনি চা -কফি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছিলেন। পৃথিবীতে খুব কমই কোন ব্যক্তি খাদ্যের সাথে অন্যান্য অনেক পরীক্ষা -নিরীক্ষা করতেন, যেমন গান্ধীজি খাদ্য ও পানীয় নিয়ে করেছিলেন।
সেই ৫টি জিনিস সম্পর্কে জানি, যা উনি পছন্দ করতেন :-
মহাত্মা গান্ধী মসুর ডাল এবং ভাত খুব পছন্দ করতেন। মসুর ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন।
গুজরাটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় গান্ধীজি ছোটবেলা থেকেই রুটি পছন্দ করতেন। তিনি তাঁর খাবারে রুটি অন্তর্ভুক্ত করতেন। রুটি গান্ধীজি আজীবন খেয়েছিলেন।
একই ভাবে, গান্ধীজি তাঁর খাবারে দই অন্তর্ভুক্ত করতেন। যেমন আমরা জানি যে দই এবং মাখন এমন একটি জিনিস যা প্রায় প্রত্যেকে পছন্দ করে এবং লোকেরা এটি তাদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করে। দই এবং মাখন হজমের জন্য খুবই উপকারী
মহাত্মা গান্ধী তার খাদ্যতালিকায় সিদ্ধ বেগুন অন্তর্ভুক্ত করতেন। গান্ধীজী বিশুদ্ধ এবং সাত্ত্বিক খাদ্যকে সর্বোত্তম বলে মনে করতেন। গান্ধীজি এই ধরনের খাবারের বিরোধী ছিলেন, যা একজন মানুষ সেটি খেয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠবে।
এছাড়া গান্ধীজি খাবারে লবণ ও তেল ছাড়া সিদ্ধ সবজি নিতেন। গান্ধীজি সেদ্ধ মূলো এবং বিটরুট পছন্দ করতেন।
No comments:
Post a Comment