প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : গোল মরিচে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যদি এটি সঠিকভাবে খাওয়া হয় তাহলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
গোল মরিচকে সাধারণত মশলার রাজা বলা হয়। গোল মরিচ এমন একটি গরম মশলা যা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না বরং অনেক রোগেরও চিকিৎসা করে।
গোল মরিচে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট : দূষণ, সিগারেটের ধোঁয়া, সূর্যের রশ্মি ইত্যাদি, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোর কারণে প্রদাহ, হৃদরোগ, কিছু ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে গোল মরিচ খাওয়া উপকারী।
প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য: দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের সমস্যা বাত, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের কারণে বৃদ্ধি পায়। গবেষণাগারের গবেষণায় দেখা গেছে যে গোল মরিচ প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুব উপকারী। এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ দূর করে।
চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি করে: গোল মরিচের জল পান করলে আমাদের মস্তিষ্ক আরও ভালোভাবে কাজ শুরু করে। এ ছাড়া, যারা কালো পার্কিনসন রোগ এবং আল্জ্হেইমের রোগে ভুগছেন তাদের জন্যও গোল মরিচের জল খাওয়া অনেক উপকারী হতে পারে।
হার্ট ফিট রাখতে সহায়ক: গোল মরিচ শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসকরা বলেন, গোল মরিচের ব্যবহার হার্টের জন্য ভালো। যদি আপনি জলে দ্রবীভূত করে গোল মরিচ সেবন করেন, তাহলে এটি আপনার হৃদয় ভালো রাখবে এবং আপনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদয় সম্পর্কিত সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সক্ষম হবেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পাওয়ার জন্য সেরা: গোল মরিচের জল খেলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোল মরিচের জল স্বাভাবিকভাবেই তরুণ চেহারার ত্বক পাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং সর্বোত্তম উপায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে: এ ছাড়া, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোল মরিচ খাওয়ারও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে গোল মরিচের জল খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ক্যান্সার: গোল মরিচে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, গোল মরিচে পাওয়া পুষ্টিকর উপাদান স্তন, প্রোস্টেট এবং কোলন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। শুধু তাই নয়, ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় গোল মরিচ খাওয়া উপকারী। এটি শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
No comments:
Post a Comment