ইউরোপে বাতাসের গতি ব্যতিক্রমীভাবে হ্রাস পেয়েছে। এটি বায়ু শক্তি উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে বাতাসের অভাব একটি মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। এটি গ্রিডে প্রভাব ফেলতে পারে।
বায়ুর শক্তি উৎপাদনে প্রভাব
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের মধ্যে, ইউরোপের স্থিতিশীল আবহাওয়া এবং বাতাসের কারণে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রভাবিত হয়েছে। এই বছর ইউরোপে, গ্রীষ্ম এবং শরতের শুরুতে দীর্ঘ শুষ্ক অবস্থা এবং ধীর বাতাসের গতি ছিল।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিদ্যুৎ কোম্পানি এসএসই বলেছে যে তার পুনর্নবীকরণযোগ্য সুবিধাগুলি প্রত্যাশার চেয়ে ৩২ শতাংশ কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে
ইউনিভার্সিটি অব রিডিং -এর সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, মধ্য ইউরোপে স্থিতিশীল উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় চাপের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে ধীর বাতাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি ভবিষ্যতে পাওয়ার সিস্টেমগুলির জন্য সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে বায়ু শক্তির উপর নির্ভরশীল বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার জন্য বাতাসের গতির দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
বাতাসের গড় গতি ৮ থেকে ১০ শতাংশ হ্রাস পাবে
সাম্প্রতিক আইপিসিসি রিপোর্ট অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ইউরোপে বাতাসের গড় গতি আট শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমে আসবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে বাতাসের গতিতে সামান্য পরিবর্তনও বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে, কারণ একটি টারবাইনে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাতাসের গতির ঘনক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।
গ্যাসের ক্রমবর্ধমান মূল্য এবং COP 26 এর কাউন্টডাউনের মধ্যে বায়ু শক্তি শক্তির প্রয়োজনীয়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে, সম্প্রতি যে শুষ্ক বাতাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে তা দেখায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই পদ্ধতি কতটা পরিবর্তনশীল হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে শুধুমাত্র ভবিষ্যতে একটি নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ গ্রিড বিকাশের জন্য এতে বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না। একই সময়ে, অন্যান্য পুনর্নবীকরণযোগ্য সম্পদ যেমন সৌর, বায়ুশক্তির সঙ্গে জলবিদ্যুৎ এবং উপযুক্ত উপায়ে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যবস্থাপনার দক্ষতার সংমিশ্রণ সেই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে যখন বাতাস বইবে না।
No comments:
Post a Comment