প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: "বাংলাদেশে দুর্গা পুজোর সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দুর্দশা" তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুর নিজেও একজন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ, যাদের শিকড় বাংলাদেশেও রয়েছে। ১৪ অক্টোবর তারিখের চিঠিতে বলা হয়েছে “বাংলাদেশে দুর্গা পূজা উদযাপনের সময় কিছু মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় আমি দুঃখ ও শোকের সাথে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে নানান অত্যাচার করা হয়ে থাকে। এই শুভ দুর্গা পূজা উদযাপনের সময় সংখ্যাগরিষ্ঠ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ৫০০ এরও বেশি .... দুর্গা পূজার অনেক প্যান্ডেল, মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর করেছে এবং চারজনকে হত্যা করা হয়েছে।"
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে "বাংলাদেশে দুর্গা পূজা উদযাপনকে বিপর্যস্ত করতে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও উস্কে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে সহজেই টার্গেট করা হয় এবং তাদের মূর্তি এবং তাদের ধর্মীয় বা নৈতিক বিশ্বাস ধ্বংস করা হচ্ছে। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে ধর্মের স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘনের একটি ধারাবাহিক প্যাটার্ন রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশে বসবাসের অধিকার, ব্যক্তিগত অখণ্ডতা এবং উপাসনার স্বাধীনতার লঙ্ঘন।" শান্তনু ঠাকুর চিঠিতে বলেন "দয়া করে বিষয়টি খতিয়ে দেখুন এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।"
এদিকে ১৪ অক্টোবর বাংলার বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করে বলেছেন "বাংলাদেশে চরমপন্থীদের দ্বারা হিন্দুদের ওপর হামলা এবং দুর্গা মাতার মূর্তি ভাঙচুর দুর্ভাগ্যজনক এবং বিরক্তিকর। আমি বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করছি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে এবং সেখানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দুদের রক্ষা করতে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে।"
No comments:
Post a Comment