মধু তার অ্যান্টি-বায়োটিক, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং রসুনে অ্যালিসিন এবং ফাইবারের উপস্থিতির কারণে আমাদের বিভিন্ন পুষ্টি সরবরাহ করে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই দুটিকে একসাথে মিশিয়ে খাওয়ালে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। মধুতে ডুবানো রসুন খেলে আপনি অনেক রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
এটি এক ধরনের সুপার ফুড যা একটি অ্যান্টিবায়োটিকের মত কাজ করে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং সব ধরনের সংক্রমণ দূর করে। এটি ইমিউন সিস্টেমকেও অনেক শক্তিশালী করে। যদি আপনি পরপর ৭ দিন মধুতে ডুবানো রসুন খান, তবে এর প্রভাবও কয়েক দিনের মধ্যে দৃশ্যমান হবে।
রসুন ও মধুর পেস্ট খাওয়া হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এটি সেবনের মাধ্যমে হার্টের ধমনীতে জমা চর্বি বেরিয়ে আসে। এই কারণে, রক্ত সঞ্চালনও সঠিকভাবে হতে শুরু করে। যা হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এই দুটি জিনিস একসঙ্গে খেলে কোলেস্টেরল কমে এবং শরীরের রক্ত চলাচলও ঠিক থাকে।
এদের মধ্যে উপস্থিত ফসফরাস দাঁতকে মজবুত রাখে। এটি দাঁত সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করতে কাজ করে। এই পেস্টে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যায়। এটি খেলে আপনি আপনার গলা ব্যথা এবং ফোলাভাব থেকে অনেকটাই উপশম পাবেন।
এটি একটি প্রাকৃতিক ডিটক্স। এটি খেলে শরীরও ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। এই কারণে আপনি সুস্থ থাকেন। আপনার যদি ঘন ঘন ডায়রিয়ার সমস্যা হয় তবে এই পেস্টটি খাওয়া খুব উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এটি সেবন করলে আপনার পরিপাকতন্ত্র খুব ভালো কাজ করে। এর ফলে আপনি পেট সংক্রান্ত কোনো ধরনের ইনফেকশন পাবেন না।
এ দুটির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ছত্রাকের সংক্রমণ দূর করতেও কাজ করে। মধু ও রসুন একসাথে খেলে শরীরের ওজন অনেক কম হয়। এর পাশাপাশি স্থূলতার সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।
মধুতে চুবিয়ে রসুন খেলে শরীরে প্রচুর তাপ আসে। এই কারণে, সর্দি কাশির থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি সাইনাসের সমস্যাও অনেকটাই কমে যায়। ২-টি বড় রসুনের কোয়া হালকা চাপ দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তারপর এতে খাঁটি মধু যোগ করুন। এভাবে কিছুক্ষণ রেখে দিন যাতে সব মধু রসুনের মধ্যে শুষে যায়। তারপর সকালে খালি পেটে এটি ৭ দিনের জন্য খান।
No comments:
Post a Comment