মাধুরী দীক্ষিতের জীবনে কিছু অজানা কথা

অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত প্রকৃতপক্ষে অভিনয় শিল্পে আমাদের সেরা প্রতিভাদের একজন।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিনেত্রী দ্বারা অভিনয় করা কিছু আশ্চর্যজনক চরিত্র দেখেছি এবং অনুরাগীদের কাছ থেকে সমস্ত ভালবাসা পেয়েছে।অভিনেত্রী যিনি কেবল তার আশ্চর্যজনক অভিনয় দক্ষতার জন্যই নয় তার অভিব্যক্তি এবং নৃত্যের জন্যও পরিচিত তিনি কেবল বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেই নয় লক্ষ লক্ষ অনুরাগীর হৃদয়ে তার দৃড় ছাপ রেখেছেন।

নিঃসন্দেহে আমরা পর্দায় অভিনেত্রীর বিভিন্ন শেড দেখেছি এবং পছন্দ করেছি তবে আসুন দেখে নেই অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের জীবনের কিছু কম জানা তথ্য

১.অনিল কাপুরের সঙ্গে তার সম্পর্ক

অন-স্ক্রিন জুড়ির মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ছিল প্রকৃতপক্ষে অনিল কাপুর এবং মাধুরী দীক্ষিত। আমরা এই আশ্চর্যজনক জুটিকে বেশ কয়েকটি সিনেমায় দেখেছি এবং তাদের পছন্দ করেছি। নিসন্দেহে তাদের উত্তেজনাপূর্ণ রসায়ন তখন এবং এখনকার দিনেও আলোচিত হয়েছে। সেই সময় অনিল কাপুর এবং মাধুরী দীক্ষিত ডেট করেছিলেন বলে গুজব ছিল।  অনেক গুজব এবং গল্প ছিল যা তাদের সম্পর্কের দিকে পরিচালিত করেছিল।তবে মাধুরী দীক্ষিত কখনোই এই সব গুজব প্রকাশ্যে গ্রহণ করেননি।

২.বিনোদ খান্নার সঙ্গে সিনেমা করতে গিয়ে দুঃখিত

১৯৯৮ সালে অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের বয়স ২১ বছর ছিল যখন তিনি দিয়াভান সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন যেখানে প্রধান চরিত্রে ছিলেন বিনোদ খান্না।বিনোদ খান্না তখন অভিনেত্রীর থেকে ২০ বছরের বড়।তিনি শুধুমাত্র বিনোদ খান্নার সঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করেননি বরং তিনি তার সঙ্গে একটি  চুম্বনও ভাগ করেছিলেন।এই দৃশ্যটি এতটাই সমালোচনার আকর্ষণ করেছিল যে অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের ইচ্ছা ছিল যে তিনি সিনেমাটি প্রত্যাখ্যান করবেন।

৩. জুহি চাওলার সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা

অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত এবং জুহি চাওলা বলিউডে শীর্ষ বছরে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।তাদের পেশাদার প্রতিযোগিতা তাদের ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়।তারা উভয় সত্যিই একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য খুব কঠিন চেষ্টা করেছিলেন। জুহি চাওলা একবার প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি এই নিয়ে খুব চাপে ছিলেন।তবে এটি শেষ হয়েছিল যখন উভয় অভিনেত্রী গুলাব গ্যাং সিনেমার জন্য একসঙ্গে আসেন।

 ৪.উচ্চ ফি দাবি

২০১২ সালে অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতকে মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। তবে অভিনেত্রী প্রায় ৯ থেকে ১০ কোটি টাকা ফি দাবি করেন। যার জন্য তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন।

৫.মাধুরী দীক্ষিত গোবিন্দার  সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকার করেছিলেন

১৯৮০-এর দশকে মাধুরী দীক্ষিত এবং গোবিন্দা দুজনেই ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন ছিলেন।অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত গোবিন্দার  বিপরীতে সাদা সুহাগন সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। সেই বছর গোবিন্দা তার দুর্বল পর্যায়ে ছিলেন।খবর ছিল যে তিনি পতনশীল তারার সঙ্গে কাজ করতে চান না এবং তিনি প্রকল্প থেকে ফিরে যান।পরে অভিনেত্রী সমস্ত গুজব উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন যে গোবিন্দার  বিরুদ্ধে তার কিছুই নেই।