দুধ যেমন আমাদের শরীরে প্রোটিন বাড়ায় তেমনি ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও দূর করে। দুধের সাথে তুলসী পাতা দিয়ে পান করলে তা খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত।আসুন জেনে নেই দুধের আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে :
মাইগ্রেনের জন্য দুধকে ভালো ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদি কারো সবসময় মাথাব্যথা থাকে তবে তা উপেক্ষা করবেন না এবং একবার পরীক্ষা করে নিন। মাইগ্রেন থাকলে সকাল-সন্ধ্যা দুধে তুলসী ও হলুদ মিশিয়ে পান করা শুরু করুন। এটি মাইগ্রেন এবং সাধারণ মাথাব্যথাও নিরাময় করে।
যদি কিডনিতে পাথরের সমস্যা থাকে এবং চিকিৎসকরা অপারেশন করতে বলেন, তাহলে এক সপ্তাহ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস দুধ পান করুন। এই প্রতিকারে কয়েক দিনের মধ্যে কিডনির পাথর গলে যাবে। আপনি এই সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন এবং অপারেশনও করতে হবে না।
হৃদরোগে তুলসী দুধ পান করুন। বাড়িতে কারো হার্ট সংক্রান্ত রোগ থাকলে দুধে তুলসী পাতা মিশিয়ে গরম করুন। তারপর এই দুধ ঠান্ডা করে পান করুন। এর ফলে হৃদরোগ সেরে যায়।
দুধে ভিটামিন সি ছাড়া অন্যান্য সব ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। অন্যদিকে, তুলসীর অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। ক্যান্সারে তুলসী পাতা উষ্ণ দুধে মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা পান করুন। সকাল-সন্ধ্যা নিয়মিত এই দুধ পান করলে ক্যান্সারের মতো রোগও শরীরকে স্পর্শ করবে না।
ভাইরাল ফ্লু থেকে বাঁচতে দুধে তুলসী পাতা, লবঙ্গ ও কালো গোলমরিচ মিশিয়ে গরম করুন। তারপর ঠাণ্ডা করে পান করুন। সকালে খালি পেটে এভাবে গরম দুধ পান করলে আরাম পাওয়া যায়। এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং দ্রুত ফ্লু থেকে মুক্তি দেবে ।
No comments:
Post a Comment