আপনি যদি ডায়বেটিসের সাথে লড়াই করতে থাকেন তাহলে এই খবরটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এটি এমন একটি রোগ, যা আমরা শুধুমাত্র খাদ্যের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই রোগের রোগীদের তাদের খাদ্যের প্রতি অনেক মনোযোগ দিতে হবে। কারণ একটু অসাবধানতা আপনার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। কিছু জিনিস আছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
ডায়বেটিস কি ?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়বেটিস এমন একটি রোগ যেখানে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিতভাবে ওঠানামা করে। নিম্ন মানের খাদ্য, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং সঠিক শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাবের কারণে মানুষ অল্প বয়সেই এই রোগের শিকার হয়।
ডায়বেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ:
অস্থিরতা
মিষ্টি খাবার প্রবনতা
খিদে বোধ
ঘাম
ক্লান্তি
মাথাব্যথা
ঝাপসা দৃষ্টি
দ্রুত হৃদস্পন্দন
হঠাৎ ওজন হ্রাস
হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করা কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক আবরার মুলতানির মতে, ডায়বেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়লে কিডনি ফেলিওর, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো অনেক মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন।
ডাঃ আবরার মুলতানির মতে, ডায়বেটিস রোগীদের প্রথমে তাদের খাদ্যের ব্যাপারে যত্ন নেওয়া উচিৎ। কারণ ডায়বেটিস আপনার খাদ্যের একটি খেলা, যার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং মারাত্মক ঝুঁকিও এড়ানো যেতে পারে। এজন্য আপনার একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য অনুসরণ করা উচিৎ।
ডায়বেটিক রোগীদের ডায়েট
করলা খাওয়া: ডাঃ আবরার মুলতানির মতে, এটি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। তাই ডায়বেটিস রোগীদের তাদের খাদ্য তালিকায় করলা অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ । করলা যেকোনো আকারে নেওয়া যেতে পারে, আপনি চাইলে এর সবজি খান বা এর রসও পান করতে পারেন। এর বাইরেও এর পাউডার বাজারে পাওয়া যায়, যা জলের সাথে মিশিয়ে পান করা যায়।
মেথি খাওয়া : জলে ভেজানো মেথি বীজ পান করেও সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ডাঃ আবরার মুলতানির মতে, মেথি বীজে পাওয়া অ্যামিনো অ্যাসিড রক্তের ভিতরে উপস্থিত চিনিকে ভাঙতে এবং এর মাত্রা কমাতে কাজ করে। এটি রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আমলকি খাওয়া: ডায়বেটিস রোগীদের জন্য আমলকি উপকারী। আমলকি তে রয়েছে ক্রোমিয়াম নামক একটি খনিজ, যা কার্বোহাইড্রেটের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। এবং এর ফলো শরীর ইনসুলিনের প্রতি আরও বেশি প্রতিক্রিয়াশীল হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সব ঋতুতেই আমলকি পাওয়া যায় না। অতএব, সকালে এর গুঁড়ো পান করুন, যদি আপনি বাজারে আমলকি পান তবে প্রতিদিন এটি খান।
No comments:
Post a Comment